শরীফ থেকে শরিফা পুরো গল্প pd ডাউনলোড

শরিফ থেকে শরিফা গল্প pdf download, sharif theke sharifa golpo pdf download, শরীফ থেকে শরিফা গল্প সপ্তম শ্রেণী pdf download
শরিফ থেকে শরিফা গল্প pdf download, sharif theke sharifa golpo pdf download, শরীফ থেকে শরিফা গল্প সপ্তম শ্রেণী pdf download


শরীফ থেকে শরিফা পুরো গল্প pdf

নতুন পরিচয়
পরের ক্লাসে খুশি আপা একজন অতিথিকে সঙ্গে নিয়ে এলেন। তিনি বললেন, ইনি ছোটবেলায় তোমাদের স্কুলে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন। আজ এসেছেন, নিজের স্কুলটা দেখতে। সুমন জানতে চাইল, আপনার নাম কী? তিনি বললেন, আমার নাম শরীফা আকতার।

শরীফা
শরীফা বললেন, যখন আমি তোমাদের স্কুলে পড়তাম তখন আমার নাম ছিল শরীফ আহমেদ। আনুচিং অবাক হয়ে বলল, আপনি ছেলে থেকে মেয়ে হলেন কী করে? শরীফা বললেন, আমি তখনও যা ছিলাম এখনও তাই আছি। নামটা কেবল বদলেছি। ওরা শরীফার কথা যেন ঠিকঠাক বুঝতে পারল না।

শরীফার গল্প
ছোটবেলায় সবাই আমাকে ছেলে বলত। কিন্তু আমি নিজে একসময়ে বুঝলাম, আমার শরীরটা ছেলেদের মতো হলেও আমি মনে মনে একজন মেয়ে। আমি মেয়েদের মতো পোশাক পরতে ভালোবাসতাম। কিন্তু বাড়ির কেউ আমাকে পছন্দের পোশাক কিনে দিতে রাজি হতো না। মায়ের সঙ্গে ঘরের কাজ করতে আমার বেশি ভালো লাগত। বোনদের সাজবার জিনিস দিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে সাজতাম। ধরা পড়লে বকাঝকা, এমনকি মারও জুটত কপালে। মেয়েদের সঙ্গে খেলতেই আমার বেশি ইচ্ছে করত। কিন্তু মেয়েরা আমাকে খেলায় নিতে চাইত না। ছেলেদের সঙ্গে খেলতে গেলেও তারা আমার কথাবার্তা, চালচলন নিয়ে হাসাহাসি করত। স্কুলের সবাই, পাড়া-পড়শি এমনকি বাড়ির লোকজনও আমাকে ভীষণ অবহেলা করত। আমি কেন এ রকম একথা ভেবে আমার নিজেরও খুব কষ্ট হতো, নিজেকে ভীষণ একা লাগত।


এক দিন এমন একজনের সঙ্গে পরিচয় হলো যাকে সমাজের সবাই মেয়ে বলে কিন্তু সে নিজেকে ছেলে বলেই মনে করে। আমার মনে হলো, এই মানুষটাও আমার মতন। সে আমাকে বলল, আমরা নারী বা পুরুষ নই, আমরা হলাম 'ট্রান্সজেন্ডার'। সেই মানুষটা আমাকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে গেল, যেখানে নারী- পুরুষের বাইরে আরও নানা রকমের মানুষ আছেন। তাদের বলা হয় 'হিজড়া' জনগোষ্ঠী। তাদের সবাইকে দেখেশুনে রাখেন তাদের 'গুরু মা'। আমার সেখানে গিয়ে নিজেকে আর একলা লাগল না, মনে হলো না যে আমি সবার চেয়ে আলাদা। সেই মানুষগুলোর কাছেই থেকে গেলাম। এখানকার নিয়ম-কানুন, ভাষা, রীতি- নীতি আমাদের বাড়ির চেয়ে অনেক আলাদা। তবু আমরা সবার সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিয়ে একটা পরিবারের মতনই থাকি। বাড়ির লোকজনের জন্যও খুব মন খারাপ হয় কিন্তু তারা আমাকে আর চায় না, আশপাশের লোকের কথায়ও তাদের ভীষণ ভয়।

আজ থেকে বিশ বছর আগে বাড়ি ছেড়েছি। সেই থেকে আমি আমার নতুন বাড়ির লোকদের সঙ্গে, নতুন শিশু আর নতুন বর-বউকে দোয়া-আশীর্বাদ করে পয়সা রোজগার করি। কখনও কখনও লোকের কাছে চেয়ে টাকা সংগ্রহ করি। কিন্তু আমাদের ইচ্ছে করে সমাজের আর দশটা স্বাভাবিক মানুষের মতো জীবন কাটাতে, পড়াশোনা, চাকরি-ব্যবসা করতে। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষ আমাদের সঙ্গে মিশতে চায় না, যোগ্যতা থাকলেও কাজ দিতে চায় না।


আমাদের মতো মানুষ পৃথিবীর সব দেশেই আছে। অনেক দেশেই তারা সমাজের বাকি মানুষের মতনই জীবন কাটায়। তবে আমাদের দেশের অবস্থারও বদল হচ্ছে। ২০১৩ সালে সরকার আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছে। বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান আমাদের জন্য কাজ করছে। শিক্ষার ব্যবস্থা করছে, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে। সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর প্রচেষ্টা নিচ্ছে। নজরুল ইসলাম ঋতু, শাম্মী রানী চৌধুরী, বিপুল বর্মণের মতো বাংলাদেশের অনেক ট্রান্সজেন্ডার এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীর মানুষ সমাজজীবনে এবং পেশাগত জীবনে সাফল্য পেয়েছেন।

ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ে ইসলাম কি বলে:

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, নবী কারিম (সা.) ওইসব পুরুষকে অভিশাপ করেছেন, যারা নারীর বেশ ধারণ করে। আর ওই সব নারীকেও অভিশাপ করেছেন, যারা পুরুষের বেশ ধারণ করে। –সহিহ বোখারি : ৫৮৮৫

কোরআন মাজিদে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে রক্ষা করো জাহান্নামের আগুন থেকে। যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, যাতে নিয়োজিত আছেন নির্মম-হৃদয়, কঠোর-স্বভাবের ফেরেশতাগণ। যারা আল্লাহ যা তাদেরকে আদেশ করেন, তা অমান্য করেন না এবং তারা যা করতে আদিষ্ট হন, তাই করেন।’ -সুরা তাহরিম : ০৬


বর্তমান জেনারেশনের বেশিরভাগ মেয়েদের বিটিএস পছন্দ 

কারন তারা মে"য়েলি স্বভাবের পুরুষ চায়। তাই এখন নারী প'টানোর জন্য পুরুষ হয়ে যায় নারীবাদী, কবিতা লাভার, ক্যাট লাভার, আর লু!তুপুতু গল্পের পাঠক ইভেন্কি পিরি'য়'ড কবি। 

কিন্তু আমাদের দাদী-নানীদের অবস্থা ভিন্ন ছিলো। এখনো তাদের সামনে কোন ছেলে যদি মেয়েদের মতো হাটাচলা করে অথবা মেয়েদের বে'শভূ'ষা ধরে তাহলে তারা কষে একটা ধমক দিবে। কারন তাদের কাছে একটা ছেলের মে'য়ে'লি স্বভাবের হওয়াটা মানুষিক বি'কৃ'তি।


কারন উনারা জানেন একটা পরিবারে একজন পুরুষের প্রয়োজন কতটুকু। দাদী নানীরা প্রকৃত পু'রুষ মা'নুষ চিনেন। উনারা ভালো ভাবেই জানেন একজন পুরুষের বৈশিষ্ট্য কেমন হয়।

আমাদের দাদা-নানারা ছি'লেন প্রকৃত পুরুষ। লোমশ হাত ওয়ালা সুঠাম দেহের সুস্থ সবল পুরু'ষ'ত্বের অধিকারী ছিলেন তারা। তারা পরিবারের জন্য মাথায় করে পাহাড় বহন করতেন। নিজের স্ত্রী সন্তানকে আগলে রেখে যেকোনো বিপদের মুখে সিসা ঢালা প্রাচীর হয়ে দাঁড়াতেন। তারা ফজরের আগে ঘুম থেকে উঠে মই,লাঙ্গল নিয়ে মাঠে ছুটতেন। মাঠের এক কোণায় গামছা বিছিয়ে ফজরের নামাজ টা পড়ে নিয়ে আবার কাজে লেগে পড়তেন। দিপ্রহরে বাড়িতে এসে স্ত্রীর হাত পাখার বাতাসে পান্তা খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতেন।


এখন সময় বদলেছে, টেকনোলজির এই দুনিয়ায় সব কিছু সহজলভ্য হয়েছে ঠিক কিন্তু প্রতি ঘর থেকে পুরুষ মানুষ হা'রি'য়ে যাচ্ছে। একটা গ'র্দ'ভ অ'সু:স্থ জেনারেশন তৈরি হচ্ছে, এদের পুরু'ষত্ব তো নেই উলটো হিজ!ড়া হয়ে যাচ্ছে।

না আছে তাদের ২৫ কেজি ওজনের একটা বস্তা বহনের মুরোদ, না আছে ১০ মিনিট দৌড়ানোর মুরোদ। খাওয়ার ঠিক নেই, ঘুমের ঠিক নেই। এই জেনা'রেশন দিয়ে এই উম্মা:হের কোনো উপকার কস্মিনকালেও সম্ভব' নয়।


★ ইদানীং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ মানুষ নিয়ে আলোচনা হতে দেখা যায়, যাদের বেশির ভাগ তৃতীয় লিঙ্গের মনে করলেও মূলত তারা তৃতীয় লিঙ্গের নয়। বরং তারা বিশেষ অস্ত্রোপচার ও হরমোন প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে রূপান্তরিত লিঙ্গের ব্যক্তি, যারা মানসিক দিক থেকে তাদের সৃষ্টিগত লিঙ্গের চেয়ে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি বেশি আসক্ত ছিল। ফলে একসময় তারা অস্ত্রোপচার ও হরমোন প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে নিজেদের দেহাবয়ব পরিবর্তন করে বিপরীত লিঙ্গের বেশ ধারণ করেছে।

তবে মাঝে মাঝে বিস্তৃত পরিভাষায় রূপান্তরিত লিঙ্গ বা ট্রান্সজেন্ডার বলতে ‘ক্রস-ড্রেসার’ বা বিপরীত লিঙ্গের পোশাক পরিধানকারীদেরও বোঝানো হয়, বাস্তবে তাদের লিঙ্গবোধ যাই হোক না কেন।

প্রশ্ন হলো, একজন মুসলিম কি চাইলে লিঙ্গ রূপান্তর করতে পারে? ইসলামের দৃষ্টিতে এর বিধান কী?

এর জন্য আমাদের অবশ্যই পবিত্র কোরআন  ও হাদিসের শরণাপন্ন হতে হবে।

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি (আল্লাহ) মানুষকে সৃষ্টি করেছি সুন্দরতম গঠনে।’ (সুরা : ত্বিন, আয়াত : ৪)

মহান আল্লাহ মানুষকে যে স্বাভাবিক দেহাবয়ব দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, সেটাই তার জন্য উত্কৃষ্ট নিয়ামত। ইসলামী বিধি-বিধানের বাইরে গিয়ে একে পরিবর্তন-পরিবর্ধনের অধিকার কারো নেই।


পবিত্র কোরআনের অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ তাঁর সৃষ্টির পরিবর্তন-পরিবর্ধনকে শয়তানের কাজ বলে আখ্যা দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘সে (শয়তান) বলে, আমি অবশ্যই তোমার (আল্লাহর) বান্দাদের এক নির্দিষ্ট অংশকে আমার অনুসারী করে নেব। আমি তাদের পথভ্রষ্ট করবই; তাদের হৃদয়ে মিথ্যা বাসনার সৃষ্টি করব। আমি তাদের নিশ্চয়ই নির্দেশ দেব আর তারা পশুর কর্ণোচ্ছেদ করবেই এবং তাদের নিশ্চয়ই নির্দেশ দেব আর তারা আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবেই।
(আল্লাহ বলেন) আল্লাহর পরিবর্তে কেউ শয়তানকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করলে সে স্পষ্টভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১১৬-১১৯)

উপরোক্ত আয়াতে অভিশপ্ত শয়তান মহান আল্লাহকে বলেছিল, যে ‘নিশ্চয়ই নির্দেশ দেব আর তারা আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবেই।’ বোঝা গেল অহেতুক নিজের শরীরে বিকৃত সৃষ্টি করা মহান আল্লাহর সৃষ্টিতে বিকৃত করার শামিল।
আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, ‘আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন ওই সমস্ত নারীর প্রতি, যারা অন্যের শরীরে উল্কি অঙ্কন করে, নিজ শরীরে উল্কি অঙ্কন করায়, যারা সৌন্দর্যের জন্য ভ্রু-চুল উপড়িয়ে ফেলে এবং দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে। সেসব নারী আল্লাহর সৃষ্টিতে বিকৃতি আনয়ন করে।
’ (বুখারি, হাদিস : ৪৮৮৬)


বিশেষজ্ঞ আলেমদের মতে, কেউ যদি সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য নিজের দেহাবয়বে কোনো ধরনের পরিবর্তন আনে, তবে তা আল্লাহর সৃষ্টির বিকৃতির শামিল হবে; তবে কেউ যদি রোগমুক্তির আশায় বাধ্য হয়ে চিকিৎসা হিসেবে এমনটি করে বা কোনো শারীরিক ত্রুটি দূর করার জন্য বাধ্য হয়ে করে, তবে তা আল্লাহর সৃষ্টির বিকৃতির অন্তর্ভুক্ত হবে না।  হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, হারিস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) অভিসম্পাত করেছেন সুদখোর, সুদদাতা, সুদের সাক্ষী, সুদের লেখক এবং যে শরীরে দাগ দেয়, যাকে দাগ দেওয়া হয়। এক ব্যক্তি বলল, রোগের জন্য ছাড়া? তিনি বলেন, হ্যাঁ। (নাসায়ি, হাদিস : ৫১০৪)
কিন্তু ট্রান্সজেন্ডার যেহেতু মানসিক রোগ থেকে হয়, তাই তাদের লিঙ্গে অস্ত্রোপচার না করে তাদের মানসিক চিকিৎসায় জোর দেওয়া উচিত, তাদের সমস্যাগুলো যদি হরমোনগত সমস্যা থেকে হয়, সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। 


আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃতির অধিকার কারো নেই। হ্যাঁ, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক কন্যাশিশুর জন্মের সময় যোনিপথ বন্ধ থাকে, যা অপারেশনের মাধ্যমে ঠিক করা সম্ভব, সে চিকিৎসা গ্রহণকে ইসলাম নিষিদ্ধ বলে না। এবং পরিভাষায় সেই অস্ত্রোপচারকে ট্রান্সজেন্ডারও বলে না। উপরন্তু যেসব নারী পুরুষের বেশভূষা নিতে চায়, যেসব পুরুষ নারীর বেশভূষা নিতে চায়, মহানবী (সা.) তাদের অভিসম্পাত করেছেন। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুল (সা.) নারীর বেশধারী পুরুষদের এবং পুরুষের বেশধারী নারীদের অভিসম্পত করেছেন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৭৮৫)

মহান আল্লাহ সবাইকে এই ঘৃণ্য কাজ থেকে দূরে থাকার তাওফিক দান করুন।

এই লেখা গুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া। শিক্ষার উদ্দেশ্য, কারো কোনো অভিযোগ থাকলে অনুগ্রহকরে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন ধন্যবাদ

শরীফ থেকে শরিফা পুরো গল্প সপ্তম শ্রেণী pdf download করতে নিচে ডাউনলোড বাটন ক্লিক করুন।

Post a Comment

স্প্যাম কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন! ধন্যবাদ, পিডিএফ বই ডাউনলোড সমস্যা হচ্ছে? এখানে দেখুন>যেভাবে PDF ডাউনলোড করবেন?

Previous Next

نموذج الاتصال