উদ্দেশ্যহীন আর কত দিন? pdf ডাউনলোড

উদ্দেশ্যহীন আর কত দিন? pdf download, মুহাম্মাদ হোবলস বই pdf download, uddesshohin ar koto din pdf download justboipdf.com
উদ্দেশ্যহীন আর কত দিন? pdf download, মুহাম্মাদ হোবলস বই pdf download, uddesshohin ar koto din pdf download

একটু পড়ুন:
উদ্দেশ্যহীন আর কত দিন?- আমাদের হারিয়ে যাওয়া

স্বার্থ আর অর্থ—পৃথিবীতে এই দুটো ছাড়া কোনো মানুষ একটা কদমও ফেলতে চায় না, অথচ দুটোই কল্যাণের চাইতে ক্ষতিই বেশি করে মানুষের। পরকালের জীবনে বিশ্বাসী কোনো মুসলমান নিজকর্মের জন্য জাগতিক প্রতিদান কামনা করে না। আমিও শুরুতেই একটা বিষয় জানিয়ে রাখি, এই আলোচনার পেছনে আমার দুনিয়াবি কোনো স্বার্থ নেই। আমার জীবন-মরণ, আমার সালাত, কুরবানি কেবল মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।

আজকের কথাগুলো শুধু তোমার জন্য। বাকি দুনিয়া যেখানে থাকে থাকুক, সবাই যা করে করুক, সবাই যা বলে বলুক। সে সবকিছু এই মুহূর্তের জন্য ভুলে যাও। পৃথিবীর বাস্তবতা তো তুমি জানোই; এখানে কেউ কারও নয়। তাই চলো, আজ নিজের কথা একটু ভাবি। তুমি আর আমি মিলে আমাদের ভেতরের জরাজীর্ণতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করি। সব আবর্জনা সরিয়ে এলোমেলো জীবনটাকে গুছিয়ে নেওয়ার উপায় একটু খুঁজে দেখি।


তুমি আর আমি কিন্তু আলাদা কেউ নই। আমাদের জীবন এখনও পুরোপুরি পবিত্র নয়। আমিও জীবনের অনেকগুলো দিন-মাস-বছর নষ্ট করেছি নিজের হাতে। কোথায় যে হারিয়ে গিয়েছিলাম, আজ তা আর মনে পড়ে না। তবে এটুকু শুনে রাখো, তোমার স্বপ্নের যে জগৎ, আমি সেই জগতেই থেকেছি বহু কাল। সুখ অর্জনের প্রবল আকাঙ্ক্ষায় প্রতিনিয়ত তুমি যে অজানা পথের দিকে ছুটে যাচ্ছ, সেই পথের শেষ সীমা পর্যন্ত গিয়েছিলাম আমি; কিন্তু ফিরতে হয়েছে একদম শূন্য হাতে।

আশ্চর্যের বিষয় হলো, এত কিছুর পরেও আমি সেই অর্থহীন পথটাকেই সঠিক পথ ভাবতাম। সেই চটকদার রাস্তায় সামান্য কয়েক কদম এগোতে পারার উন্মাদনাকে আমিও সর্বোচ্চ সুখ মনে করতাম নিজের জন্য।

তাই তোমার আর আমার জীবনের মাঝে এদিক থেকে বিশেষ কোনো পার্থক্য নেই। আমরা একই পথে হেঁটেছি, একই গন্তব্যের দিকে গিয়েছি; কিন্তু আমি তো শেষ পর্যন্ত পৌঁছনোর পরেও সুখ পেলাম না। তোমার খবর কী বলো? এখনও কত দূর যেতে পারলে? সুখের কি কোনো দেখা পেয়েছ?

আমরা কত বোকা ভাবো, যেখানে অন্যেরা স্বার্থ ছাড়া এক কদমও এগোতে চায় না, সেখানে আমরা দুজন কোনো রকম অর্জন ছাড়াই, সুখের দেখা না পেয়েও অনর্থক একটা পথের পেছনে নিজেকেই শেষ করে দিলাম।


শুনবে আমার গল্পটা?

কিন্তু আমি তো এখন বদলে ফেলেছি আমার আগের রাস্তাটা। এখানে যদিও নিজেকে প্রকাশ করা বারণ, তবে তোমাকে বুঝিয়ে দেওয়ার মতো করে সামান্য বলছি। তুমি বুঝে নিয়ো।

একটু বয়স হওয়ার পর প্রথমবার যখন পৃথিবীর সাথে আমার পরিচয়, মনে হয়েছিল, এর চেয়ে উত্তম কিছু আর নেই। প্রথম উপলব্ধিতেই পৃথিবীর মায়ার কাছে আমি নিজেকে বিক্রি করে দিয়েছিলাম। পিতামাতার উদাসীনতায় সামাজিকতার চিন্তাধারা লালন করা এক অজ্ঞ প্রজন্মের মাঝে আমার বেড়ে ওঠা। কেউ আমাকে সঠিক পথ, ভুল পথ, সুখ-অসুখ, ভালো-মন্দ, অন্যায়-উপকারের মূল্যবোধটা কখনও ঠিকভাবে বুঝিয়ে দেয়নি।

মাঝমাঠে কোনো গরু-ছাগলকে লম্বা রশি দিয়ে খুঁটির সাথে বেঁধে ছেড়ে দেওয়ার মতোই আমিও নির্দিষ্ট একটা সীমানার মাঝে স্বাধীনতা লাভ করলাম। প্রবল উচ্ছ্বসিত হয়ে মাঠের এক দিক থেকে অন্য দিকে ছুটোছুটি করতে লাগলাম। মাঠের ভেতরে থাকা ঘাস, লতাপাতা, আবর্জনা যখন যেখানে যা-ই পেয়েছি, গ্রহণ করেছি নির্দ্বিধায়।

সময়ের সাথে একটু একটু করে মাঠের সব সুখের স্বাদ চাখা শেষ হলো। এরপরেই বাঁধল আসল সমস্যাটা দূর থেকে দেখে মাঠের ঝলমলে সবুজ ঘাসের যে আসক্তি আমায় উন্মাদ করে ফেলেছিল, এখন তার সবটার স্বাদ আমার পরিচিত। এখন সবকিছু কেমন পানসে মনে হতে লাগল। কেমন যেন তেতো তেতো! হাতের নাগালে থাকা সত্ত্বেও সেসব সুখের প্রতি কেমন এক বিতৃষ্ণা! বিতৃষ্ণ পরিণত হলো এক নিদারুণ যন্ত্রণায়। একটুখানি স্বস্তির জন্য ছটফটানি। কিন্তু খুঁটি ভেঙে অন্য কোথাও চলে যাওয়ার শক্তিও আমার ছিল না। তাই ভেতরের যন্ত্রণা সইতে না পেরে আমিও নিজের মালিকের কাছে ফিরে যাওয়ার আকুতি জানাতে লাগলাম, ঠিক যেমন সন্ধা ঘনিয়ে এলে গরু-ছাগল ঘরে ফেরার জন্য ডাকাডাকি করে। এরপর কী হলো, জানো?


সারা দিনের চড়া রোদ আর মাঠের তেতো সুখের যন্ত্রণা নিয়ে খুঁজে পেলাম শান্তির সেই ঘর। মালিক আমাকে দিলেন ঠান্ডা পানি এবং আরও হাজার প্রকার অনাবিল নতুন সুখের সন্ধান। প্রতিমুহূর্তে প্রশান্তির আবেশ আমাকে আচ্ছন্ন করে রাখল। আমি টের পেলাম: পশু হোক কিংবা মানুষ— মালিকের কাছেই তার প্রকৃত স্বস্তি... আসল সুখের ঠিকানা।

তুমিও আর এভাবে যন্ত্রণায় ডুবে থেকো না। নশ্বর শরীরে এই প্রাণের মেয়াদ থাকতে থাকতেই জীবনের প্রকৃত অর্থটা শিখে নাও, তোমার সত্তার আসল উদ্দেশ্য জেনে নাও, চিনেই নাও সঠিক পথটা।

তোমার জন্য একমাত্র সঠিক পথ হলো ইসলামের পথ, দীনের পথ, কুরআনের পথ, মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পথ। এগুলো আলাদা কিছু নয়, এসবের অর্থ একটাই। আর এই পথ আমার বা অন্য কোনো মানুষের বলা পথ নয়; এটাই তোমার স্রষ্টার পক্ষ হতে নির্ধারিত একমাত্র পথ

এ যুগে অধিকাংশ তরুণ-তরুণীর বিপথে যাওয়ার পেছনে মূল কারণই তার পরিবার। সহজ সরল এই মানুষগুলোর ভেতরে ইসলামের পুরোটা না থাকায় আমাদের অন্তরেও তা দৃঢ়ভাবে গেঁথে দিতে পারেননি। তাই অধিকাংশ মুসলমান আজ বাহ্যিক দু-একটা আচার-অনুষ্ঠানকেই ইসলাম হিসেবে চেনে। জীবনকে পরিচালনার যে আদর্শ বা উপলব্ধি, ইসলামের সে অংশটুকু আমাদের কেউ দেখিয়ে দেয়নি। 


ফলে বর্তমান সমাজ-রাষ্ট্র বিদ্যালয় বা বাইরের পরিবেশের যা কিছু আমাদের চোখে পড়ে, তা থেকেই আমরা নিজেকে পরিচালনার রসদ নিই। এরপর একটা সময় ভেতরের সামান্য ইসলামটুকুও হারিয়ে যায়। শুধু পরিবারকেই দায়ী করা যদিও যথার্থ নয়, তবে একজন মানুষের মূল শেকড় বা ভিত্তি হলো তার পরিবার; পিতামাতা যদি উত্তম আদর্শবান হন, তবে সন্তানকে আদর্শিকভাবে সুরক্ষা দেওয়াকে তিনি দেখবেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে নির্ধারিত দায়িত্ব হিসেবে। কিন্তু ভ্রান্ত চিন্তায় ডুবে থাকা পিতামাতার সন্তানও যে পথভ্রষ্ট হবে, এ আর আশ্চর্যের কি!

উদ্দেশ্যহীন আর কত দিন? বইটি ফ্রী pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না! ধন্যবাদ

FAQ:
উদ্দেশ্যহীন আর কত দিন? বইটির দাম কত?
ওয়াফিলাইফ: বইটির মূল্য: 300 ৳

উদ্দেশ্যহীন আর কত দিন? বইটির লেখক কে?
লেখক : মুহাম্মাদ হোবলস

উদ্দেশ্যহীন আর কত দিন? বইটি কোন প্রকাশনী?
প্রকাশনী: পথিক প্রকাশন

উদ্দেশ্যহীন আর কতদিন? বইটি কোন বিষয়ের উপর লেখা?
বিষয় : আত্মশুদ্ধি ও অনুপ্রেরণা

উদ্দেশ্যহীন আর কত দিন? বইটিতে পৃষ্ঠা রয়েছে : 304


উদ্দেশ্যহীন আর কত দিন? pdf download করতে নিচে ডাউনলোড বাটন ক্লিক করুন।

Post a Comment

স্প্যাম কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন! ধন্যবাদ, পিডিএফ বই ডাউনলোড সমস্যা হচ্ছে? এখানে দেখুন>যেভাবে PDF ডাউনলোড করবেন?

Previous Next

نموذج الاتصال