দ্য এ্যালকেমিস্ট pdf download, পাওলো কোয়েলহো, মাকসুদুজ্জামান খান pdf download, the alchamist pdf download |
একটু পড়ুন:
দ্বিতীয় বছরের কোন এক সময় মনে পড়ে যাবে গুপ্তধনের কথা। এতদিনে তোমার লক্ষণ বিচারের ব্যাপারগুলো আরো ধারালো হবে। সেগুলো অষ্টপ্রহর বলে যাবে গোপন সম্পদের ব্যাপারে। এদিকে চোখ পড়বে না। কল্যান করতে থাকবে পুরো মরুদ্যানের। গোত্রপতিরা সমস্বরে তোমার জ্ঞানে পঞ্চমুখ হয়ে পড়বে। উটের সাথে আসবে সম্পদ, সম্পদের সাথে ক্ষমতা।
এবার তৃতীয় বছরের কথা বলি। তখন তুমি শুরু করে দিয়েছ গুপ্তধন আর স্বপ্নের কথা। জীবনের লক্ষ্যের কথা। ঘুরে বেড়াবে, রাতের পর রাত, মরুর বুকে, মরুদ্যানের বুকে, একা একা। ফাতিমা ভাববে তার জন্য আজ এ অবস্থা। কিন্তু তোমার ভালবাসা তার কাছ থেকে ভালবাসা আদায় করে নিচ্ছে কড়ায় গন্ডায়। খেয়াল করো, কখনো সে থাকতে বলছে না তোমাকে, কারণ বালির দেশের মেয়েরা সব সময় স্বামীর অপেক্ষায় থাকতে পছন্দ করে। 'রাতের পর রাত ঘুরে বেড়াচ্ছে তুমি মনের অস্থিরতা নিয়ে।
এদিকে চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাচ্ছে গুপ্তধন। তারপর, চতুর্থ বছরের কোন এক সময় হারিয়ে যাবে লক্ষণগুলোও। কারণ তুমি তাদের কথায় কান দাও না। গোত্রপতিরা ঠিক ঠিক বুঝতে পারছে সব ব্যাপার। তোমাকে সরিয়ে দিচ্ছে ক্ষমতা থেকে, কারণ তোমার নিজের ক্ষমতা নেই। কিন্তু ততদিনে তোমার টাকা পয়সা বেড়ে অনেক হয়ে যাবে। থাকবে অনেক কর্মচারী। বাকি জীবনটা কাটাবে এই ভেবে যে তুমি তোমার লক্ষ্যের পিছুধাওয়া করনি। আর দেরি হয়ে গেছে এতদিনে। অনেক দেরি। মনে রেখ। সব সময় মনে রেখ, ভালবাসা কখনো কাউকে লক্ষ্য থেকে সরিয়ে দিতে চায় না।
কেউ যদি লক্ষ্য ছেড়ে দেয়, বুঝতে হবে সে ভালবাসা সত্যি নয়... সে ভালবাসা, যা জগতের ভাষায় কথা বলে। এবার বালু থেকে বৃত্তটা সরিয়ে দেয় এ্যালকেমিস্ট। চট করে সাপটা চলে যায় আগের জায়গায়। সাথে সাথে সান্তিয়াগোর মনে পড়ে সেই স্ফটিক ব্যবসায়ির কথা যে অহর্নিশি মক্কা যাবার কথা ভাবে। সেই ইংরেজের কথাও মনে পড়ে যে খুজছে এ্যালকেমিস্টকে সে মেয়ের কথা মনে পড়ে যে বিশ্বাস করে মরুভূমিকে। মনে পড়ে যায় সে মরুভূমির কথা যে এনে দিয়েছে ভালবাসার মেয়েটাকে।
আবার ঘোড়ায় চড়ে তারা। এবার এ্যালকেমিস্টকে অনুসরণ করে ছেলেটা। ফিরে যাচ্ছে মরুদ্যানে। সেখানকার কলরব তুলে আনে হু হু করে বয়ে যাওয়া বাতাস। কান পেতে আছে সান্তিয়াগো। কান পেতে আছে ফাতিমার কন্ঠ শোনার জন্য। আমি তোমার সাথে যাচ্ছি।' অবশেষে বলে সে। কোত্থেকে যেন হুড়মুড় করে শান্তি এসে ভরিয়ে দেয় তার বুক। মাত্র একটা কথাই বলে এ্যালকেমিস্ট। 'আমরা কাল সূর্যোদয়ের আগে রওনা দিচ্ছি।' সারারাত ঘুম হয়নি তার। ভোরের ঘন্টা দুয়েক আগে পাশে শোয়া আরেক ছেলেকে জাগিয়ে ফাতিমার থাকার জায়গার কথা জিজ্ঞেস করে। ফাতিমার তাবুর কাছে যাবার পর ছেলেটাকে সোনার একটা টুকরা দেয়.
যা দিয়ে অবলীলায় কিনে ফেলা যাবে একটা ভেড়া । এবার যেতে বলে ফাতিমার তাবুতে। তাকে জাগাতে হবে। বলতে হবে বাইরে অপেক্ষা করছে সান্তিয়াগো। আবার কথামত কাজ করে তরুণ আরব। আবার তাকে আরো একটা ভেড়া কেনার মত টাকা দেয় ছেলেটা। এবার আমাদের একা থাকতে দাও।' চলে যায় ছেলেটা। গর্বে বুক ফুলে উঠেছে, কারণ সে উপদেষ্টাকে সাহায্য করেছে। কারণ সে পেয়েছে কয়েকটা ভেড়া কিনে নেয়ার মত স্বর্ণ। দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছে ফাতিমা। দুজনে মিলে চলে যায় খেজুর বাগানের কাছে। সান্তিয়াগো জানে, নিয়ম ভাঙা হচ্ছে। হোক। এখন এসবে কিছু এসে যায় না। 'চলে যাচ্ছি,' বলে সে অবশেষে, 'তোমাকে জানিয়ে রাখি, ফিরে আসব। আর ভালবাসি কারণ.... কোন কথা বলোনা। কেউ ভালবাসা পায় কারণ সে ভালবাসা পায়। ভালবাসার জন্য কোন কারণ দর্শানোর দরকার নেই।
কিন্তু একগুয়ের মত বলেই চলেছে ছেলেটা, স্বপ্নের পর দেখা হল এক রাজার সাথে। তারপর বিকিকিনি করেছি অনেক স্ফটিক, পেরিয়ে এসেছি তেপান্তর। তারপর যুদ্ধ ঘোষণা করল গোত্রগুলো। আমি এ্যালকেমিস্টের খোজে সব চষে ফেলে অবশেষে গেলাম কুয়ার ধারে। আর, তোমাকে ভালবাসি কারণ পুরো সৃষ্টি জগত ফিসফিস করে। ফিসফিস করে তোমাকে আমার করে পাইয়ে দিতে।
জড়িয়ে ধরে তারা পরস্পরকে। এই প্রথম স্পর্শ করল। 'ফিরে আসব কিন্তু!' বলে ছেলেটা। এর আগে আমি শূণ্য অনুভূতি নিয়ে তাকিয়ে থাকতাম মরুর দিকে। বলে ফাতিমা, 'এখন সেখানে থাকবে আশা । বাবাও চলে গিয়েছিল একদিন। তারপর ফিরে এসেছিল মায়ের কাছে। তারপর যতবার গেছে ততবারই ফিরে এসেছে।' আর কোন কথা নেই। দুজনেই ঘুরে বেড়ায় গাছের নিচে। তারপর ছেলেটা ফাতিমাকে এগিয়ে দেয় তাবুর কাছে। 'ফিরে আসব আমি। ফিরে আসব তোমার বাবা যেমন তোমার মায়ের কাছে ফিরে এসেছিলেন, সেভাবে। বলে সান্তিয়াগো । তারপর চাঁদের ম্লান আলোয় সে দেখে, ফাতিমার চোখে অশ্রু ।
"তুমি কাঁদছ?" "আমি মরুর দেশের মেয়ে, চোখ মুছতে মুছতে বলে সে, 'এবং আমি একটা মেয়ে।' পরদিন পানি আনতে গিয়েছিল ফাতিমা। সেখানে কেউ অপেক্ষা করছে না। এখানে আছে পঞ্চাশ হাজার গাছ। আছে তিনশ কুয়া। আছে হজযাত্রিদের আনাগোনা, ব্যবসার ব্যস্ততা, যুদ্ধের ডামাডোল। সব আছে, তবু শূণ্য মনে হচ্ছে এই মরুদ্যানটাকে। এখন থেকে মরুভূমির দিকে তাকানোর পালা। তাকানোর পালা আকাশের দিকে। কোন তারাটা অনুসরণ করবে সান্তিয়াগো? সে অপেক্ষা করছে। এক নারী অপেক্ষা করছে তার সাহসি পুরুষের জন্য। পিছনে ফেলে আসা কোন ব্যাপার নিয়ে মাথা ঘামিও না। ঘোড়ার পিঠে চড়া শুরু করার সময় বলে উঠেছিল এ্যালকেমিস্ট, 'ভুবনের রুহে সব লেখা আছে। থাকবে সব সময়ের জন্য।'
লোকে কিন্তু চলে যাবার কথা বেশি ভাবে না, ভাবে ঘরে ফেরার কথা। 'কেউ যদি খাটি পদার্থে তৈরি কিছু পায়, তা কখনো ক্ষয়ে যাবে না। যে কোন কিছু সব সময় ফিরে আসতে পারে। কিন্তু সে ফিরে আসাটা কোন বেশে তা খুব গুরুত্বপূর্ণ।' লোকটা এ্যালকেমির ভাষায় কথা বললেও যা বোঝার বুঝে নেয় ছেলেটা। পিছনে ফেলে আসা ব্যাপারগুলো ভুলে যাওয়া খুব কঠিন। মরুদ্যানে অনেক কিছু ফেলে এসেছে সে। অনেককে। হয়ত এ এ্যালকেমিস্ট কখনো ভালবাসেনি, ভাবে ছেলেটা। সামনে চড়ে বসে এ্যালকেমিস্ট। কাধে তার পুরনো বন্ধু বাজপাখি। মরুর ভাষা ভালই বোঝে বাজটা। একটু থামলেই এক চক্কর ঘুরে আসে চারধারে। প্রথমদিন এনেছিল একটা ইদুর। পরদিন একজোড়া পাখি।
রাতে ঘুমিয়ে পড়ার আগে সাবধানে আগুন নিভিয়ে দেয় তারা, হোক শীত, থাকুক চাঁদ ক্ষীণ হয়ে যাবার ফলে আসা অন্ধকার। দিনের বেলায় চলে টগবগিয়ে। কথা বলে শুধু যুদ্ধ এড়িয়ে কীভাবে যাওয়া যায় সে বিষয়ে। সামনে চলার সময় বাতাসে ভর করে ভেসে আসে রক্তের মিষ্টি গন্ধ। ধারেকাছেই কোথাও যুদ্ধ হয়েছিল। এসবই লক্ষণ। সপ্তম দিনের কথা। এ্যালকেমিস্ট আগেভাগেই আজকের মত থেমে যাবার বন্দোবস্ত করতে চায়। বাজপাখি উড়ে যাবার পর নিজের ভাগ থেকে ছেলেটাকে একটু পানি সাধে সে। তোমার যাত্রার শেষপ্রান্তে চলে এসেছ,' এ্যালকেমিস্ট বলছে, 'লক্ষ্যের
পিছুধাওয়া করায় অভিনন্দন।' কিন্তু সারা পথে আমাকে কিছুই বলোনি তুমি। আমি মনে করেছিলাম রসায়নের কিছু কিছু ব্যাপার শিখাবে। কিছুদিন আগে এ্যালকেমির উপর তাল তাল বই আছে এমন এক লোকের সাথে মরুভূমি পার হয়েছিলাম। কিন্তু বই দেখে কিছু বুঝিনি।' শিখার একটাই পথ' জবাব দেয় এ্যালকেমিস্ট, 'কাজের মাধ্যমে। যাত্রাপথে যা জানার সব জেনে গেছ। আর একটা ব্যাপার বাকি। ছেলেটা উসখুস করছে জানার জন্য। এদিকে এ্যালকেমিস্ট তাকিয়ে আছে দূর দিগন্তে, বাজপাখির খোজে। তোমাকে এ্যালকেমিস্ট বলে কেন লোকে?' কারণ আমি তাই
তাহলে আর সব এ্যালকেমিস্ট কেন সোনা বানাতে পারে না?' তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য স্বর্ণ,' জবাব দিল সফরসঙ্গি, 'তারা তাদের লক্ষ্যের গুপ্তধন খুজে যাচ্ছে, লক্ষ্য নিয়ে বাচার চেষ্টা করছে না।' আমার আর কী জানা এখনো বাকি?' কথা তোলে ছেলেটা। কিন্তু দিগন্তে তাকিয়ে আছে এ্যালকেমিস্ট। ফিরে আসছে পাখিটা শিকার নিয়ে। তারা মরুর বুকে গর্ত খোড়ে। তারপর সেখানে আগুন জ্বালায় যাতে বাইরে থেকে শিখা না দেখা যায়।
'আমি একজন এ্যালকেমিস্ট, কারণ আমি এ্যালকেমিস্ট। বিজ্ঞানটা শিখেছিলাম দাদার কাছে, সে শিখেছিল তার বাবার কাছে। এভাবে চলে গেছে ভুবন সৃষ্টির শুরুতে। তখনকার দিনে মাস্টার ওয়ার্কের কথা লেখা যেত শুধু এ্যামারান্ডের বুকে। কিন্তু মানুষ সরল ব্যাপারগুলোকে বাদ দিয়ে লেখা শুরু করল বিস্তারিত। শুরু করল অনুবাদ, দর্শন। তারা মনে করতে শুরু করল, অন্যদের থেকে ভাল জানে। এদিকে সেই আসল এ্যামারল্ড কিন্তু নষ্ট হয়নি।' *এ্যামারাল্ডে কী লেখা ছিল?'
সাথে সাথে বালিতে আকা শুরু করল এ্যালকেমিস্ট। কাজটা ফুরিয়ে যায় মিনিট পাঁচেকের মধ্যে। এ অঙ্কন দেখে ছেলেটার মনে পড়ে সেই নগর চত্বরের কথা, মনে পড়ে রাজার কথা। যেন কত যুগ আগের ঘটনা! এটুকুই লেখা ছিল এ্যামারান্ডে।' সাথে সাথে লেখাটা পড়ার চেষ্টা করে সান্তিয়াগো। 'এটাতো কোড।' অখুশি হয় সে, 'এমনি একটা লেখা ছিল ইংরেজ
লোকটার বইয়ে 'না।' জবাব দেয় এ্যালকেমিস্ট, 'এ হল ঐ শিকারি পাখি দুটার উড়ে যাবার মত। শুধু কারণ দিয়ে বোঝা যাবে না। সেই এ্যামারাল্ডের টুকরা আসলে ভুবনের আত্মার প্রতি সোজা এক পথ। 'জ্ঞানী লোকটা বুঝতে পেরেছিলেন যে আসলে এ প্রাকৃতিক পৃথিবী স্বর্গের প্রতিচ্ছবি ছাড়া আর কিছু নয়। এ ভুবনের অস্তিত্বের মানে এমন কোন ভুবন আছে যা একেবারে নিখুত। ঈশ্বর বিশ্ব সৃষ্টি করেছেন এজন্য যে, এর দৃশ্যমান জিনিসের ভিতর দিয়ে মানুষ আসলে তার আত্মিক শিক্ষা আর অসাধারণ সৃষ্টির ব্যাপারটা বুঝতে পারবে। আমি আসলে ঠিক সে ব্যাপারটাই বোঝাতে চাচ্ছি।'
"আমার কি এ্যামারন্ডের টুকরাটা বোঝা উচিত?' হয়ত। তুমি এ্যালকেমির ল্যাবরেটরিতে থাকলে পারা উচিত ছিল, তাহলে ঠিক এখন তুমি বুঝে যেতে এ্যামারাল্ডের গূঢ় তত্ত্ব। কিন্তু তুমিতো সেখানে নেই। আছ মরুভূমিতে। আর মরুভূমির বুকেও লুকিয়ে আছে সেটা। তোমাকে পুরো মরুভূমি ছানতে হবে না। স্রেফ একটা বালুকণা নাও। তারপর সেটাকে বিশ্লেষণ কর। সৃষ্টির বিস্ময় চিনে ফেলবে এক পলকে। আমি মরুভূমির বুকে নিজেকে মানিয়ে নিব কী করে? 'তোমার হৃদয়ের কথা শোন। সে সব জানে, কারণ, এসেছে ভুবনের আত্মার কাছ থেকে। একদিন ফিরে যাবে সেখানেই। নিরবে আরো দুদিন তারা এগিয়ে যায়। এখন খুব সাবধান থাকে এ্যালকেমিস্ট। সর্বক্ষণ চোখকান খোলা রাখে। এ এলাকায় সবচে ভয়ানক যুদ্ধগুলো হচ্ছে। এগিয়ে যাবার সাথে সাথে হৃদয়ের কথা শোনার চেষ্টা করে ছেলেটা।
কাজটা মোটেও সহজ নয়, আগেকার দিনে হৃদয় সব সময় কাহিনী শোনাতে প্রস্তুত ছিল, পরে আর সে কথা খাটে না। মাঝে মাঝে হৃদয় শুধু দুঃখের কথা শোনায়। কখনো কখনো মরুভূমিতে সূর্যোদয়ের সময় ছেলেটাকে সাবধানে চোখের পানি লুকাতে হয় । কষ্টের সময় হৃদপিন্ড ধ্বক ধ্বক করে অনেক বেশি। শান্ত সময়ে থাকে শান্ত। কিন্তু সে কখনো চুপ করে থাকে না। আমাদের কেন হৃদয়ের কথা শুনতে হবে?' সেদিন ক্যাম্প করার সময় প্রশ্ন করে বসে ছেলেটা। কারণ, হৃদয় যেখানে আছে সেখানেই পাবে গুপ্তধন। কিন্তু হৃদয় তো আমার কথা শোনে না। কোন এক মরুদ্যানের কথা বলে। বলে কোন এক ফেলে আসা মেয়ের কথা। "ভালতো! তোমার হৃদয় বেচে আছে। শোনার চেষ্টা কর অষ্টপ্রহর। পরের তিন দিনে দুজন সশস্ত্র মানুষের পাশ দিয়ে যায়। দূরপ্রান্তে দেখে আরেক দল।
এখন ছেলেটার হৃদয় ভয়ের কথা বলছে। সে বলছে ভুবনের আত্মার কাছ থেকে জানা কথা। এমন সব লোকের কথা বলছে যারা গুপ্তধনের খোজে বেরিয়ে আর কখনো ফিরে আসেনি; এমনকি সফলও হয়নি। অন্য সময় শোনায় তুষ্টির কথা। আনন্দের কথা। আমার হৃদয় দেখি দারুণ বিশ্বাসঘাতক, এ্যালকেমিস্টকে উদ্দেশ্য করে গলা চড়ায় ছেলেটা ঘোড়াগুলোকে একটু বিশ্রাম দিতে থামার সময় এগিয়ে যেতে দিতে চায় না।
'বুঝতেই পারছ।' সাফ জবাব এ্যালকেমিস্টের। 'তাই বলে বেড়াচ্ছে যে তুমি স্বপ্নের পিছুধাওয়া করতে গিয়ে সব খুইয়ে বসতে পার।' 'তাহলে আমার মনের কথা শোনার দরকার কী?' কারণ আর কখনো তাকে চুপ করিয়ে রাখতে পারবে না। চাও বা না চাও, সে তোমাকে নানা কথা বলেই যাবে। বলে যাবে তোমার মনের অবস্থার ব্যাপারে। তার মানে বিশ্বাসঘাতকতা করলেও আমাকে শুনে যেতে হবে? বিশ্বাসঘাতকতা হঠাৎ করে আসে। তুমি যদি হৃদয়ের কথা শোন, তাহলে বুঝতে পারবে, সে কখনো তা করতে পারছে না। কারণ তুমি স্বপ্ন আর ইচ্ছার কথা জান, জান কী করে তা সত্যি করতে হয়।
হৃদয়ের কাছ থেকে কখনো চলে যেতে পারবে না বলেই যা বলছে শুনে যাওয়া ভাল। তখন অপ্রত্যাশিত আঘাতের হাত থেকে রক্ষা পাবে। এক বিকালে ছেলেটার হৃদয় জানিয়ে দেয়, সে সুখি। সাথে সাথে পিছুটান হয়ে পড়ে দুর্বল। মাঝে মাঝে আমি নানা অভাব অভিযোগ তুলি,' বলে সেটা, 'কারণ আমি কোন একজনের হৃদয়। লোকে স্বপ্নের পিছুধাওয়া করতে চায় না কারণ সব মানুষের হৃদয় একই রকম। আর সে ভয় পায় বেশি। প্রিয়জনকে হারানোর ভয়। এদিকে স্বপ্নের পিছুধাওয়া না করলে সারা জীবনের জন্য তা তলিয়ে যেতে পারে বালির নিচে। তখন আমরা খুব ভুগি।'
তাহলে, আমার হৃদয় ভোগান্তির ভয় পায়, সে চাঁদহীন নিকষ কালো অন্ধকার আকাশের দিকে তাকিয়ে এক রাতে শেষ পর্যন্ত বলেই ফেলে এ্যালকেমিস্টকে। হৃদয়কে জানিয়ে দাও, ভোগান্তির ভয় আসল ভোগান্তিরচে কষ্টকর। আর স্বপ্নের পথে কাজ করে যেগুলো, সেগুলোর কোন ভোগান্তি নেই, কারণ তারা প্রতি মুহুর্তে ঈশ্বর আর মহাকালের সাথে লেনদেন করে। খোজ চালানোর সময় প্রতিটা মুহুর্ত আসলে ঈশ্বরের সাথে যোগাযোগের নামান্তর।' নিজের হৃদয়কে বোঝায় ছেলেটা, 'সম্পদ পাবার কথা ভাবলে তখন মনে চলে আসে পাবার আশা। তাই থাকে অনেক আনন্দ।
সারা বিকাল চুপ করে থাকে হৃদয়। সে রাতে ভাল ঘুম হয় তার। ঘুম থেকে জাগার পর ভুবনের আত্মা থেকে কথা এনে বলতে থাকে হৃদয়, মানুষ কাজ করতে থাকলে ঈশ্বর বসত করেন তার ভিতরেই। পৃথিবীর বুকে যত মানুষ আছে তাদের সবার জন্য আছে কোন না কোন গুপ্তধন। আমরা, মানুষের হৃদয়েরা সেসব ব্যাপারে খুব বেশি কিছু বলি না, কারণ লোকে আর সেসবের খোজে বের হবে না। ছেলেবেলায় তাদের সাথে কথা বলি। তারপর বেড়ে চলে বয়স, সেই সাথে বেড়ে যায় আমাদের চুপ করে থাকার সময়। কিন্তু,
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, খুব কম লোকই তাদের জন্য পাতা পথে পা বাড়ায়। বেশিরভাগ মানুষের কাছে পৃথিবী হল হুমকির জায়গা, আর তাদের বিশ্বাসের কারণেই বেরিয়ে পড়ে জগতের বীভৎস সব রূপ। *আর তাই, আমরা, তাদের হৃদয়েরা কথা বলি আরো আরো কোমল ভাষায়। কথা বন্ধ করতে পারি না, শুধু আশা করি, সেটা শোনা যাবে না।'
'তাহলে লোকের হৃদয় তাদের স্বপ্নের পথে যাবার কথা বলে না কেন?' না পেরে এ্যালকেমিস্টকে প্রশ্ন করে ছেলেটা। *কারণ এ একটা পথে সবচে বেশি ভোগান্তি হয়। আর হৃদয়েরা ভোগান্তি
পছন্দ করে না।' তখন থেকেই ছেলেটা হৃদয়ের ব্যাপারগুলো বুঝতে শিখে। জানিয়ে দেয়, লক্ষ্য থেকে দূরে সরে গেলে চাপ দিতে হবে তাকে। চাপ দিতে হবে পথে ফিরিয়ে আনার জন্য ।
সে রাতে এ্যালকেমিস্টকে এসব খুলে বলার পর এ্যালকেমিস্ট বুঝতে পারে সান্তিয়াগোর হৃদয় ফিরে গেছে ভুবনের আত্মার কাছে। "এখন? কী করব আমি?' প্রশ্ন তোলে ছেলেটা । এগিয়ে যাবে পিরামিডের দিকে। যথাযথ সম্মান জানাবে লক্ষণগুলোকে। গুপ্তধনটা কোথায় আছে তা জানানোর ক্ষমতা আছে হৃদয়ের। এখনো। এ ব্যাপারটা জানা বাকি ছিল আমার?'
'না।' জবাব দেয় এ্যালকেমিস্ট, যা জানতে হবে তা হল, কোন স্বপ্ন বুঝতে পারার আগে বিশ্বের আত্মা আগের সব অভিজ্ঞতার আলোকে যাচাই করে। খারাপ কোন উদ্দেশে নয়, আমরা যেন লক্ষ্যের দিকে ঠিকভাবে চলতে পারি সেজন্য। ঠিক এখানেই হাল ছেড়ে দেয় বেশিরভাগ মানুষ। মরুর ভাষায় আমরা বলি, “খেজুর গাছের সারি চোখে পড়ার পর মারা গেল তৃষ্ণায় " "সব খোজ শুরু হয় শুরু যে করেছে তার সৌভাগ্যের সাথে। শেষ হয় বিজয়ী বারবার পরীক্ষিত হবার পর।' ছেলেটারও মনে পড়ে যায় দেশের সেই প্রবাদের কথা। সূর্য উদিত হবার আগের প্রহর সবচে বেশি অন্ধকার।
পরদিন বিপদের গন্ধ টের পায় তারা। তিনজন সশস্ত্র অশ্বারোহী এগিয়ে এল। প্রশ্ন করল ছেলেটা আর এ্যালকেমিস্ট কী করছে। বাজ নিয়ে শিকার করছি আমি।' এ্যালকেমিস্টের সাফ জবাব। *আমরা আপনাদের পরখ করে দেখব। দেখতে হবে কোন অস্ত্র আছে কিনা।' বলে ওঠে একজন। আস্তে আস্তে নেমে আসে এ্যালকেমিস্ট। ছেলেটাও একই পথ ধরে। “টাকা নিয়ে যাচ্ছেন কেন?" ছেলেটার ব্যাগ খোজার পর জিজ্ঞেস করে। পিরামিডের দিকে যেতে হত, ভাই। আরেকজন এ্যালকেমিস্টকে পরীক্ষা করে তরল ভরা ক্রিস্টালের একটা ফ্রাঙ্ক পায়। পায় মুরগির ডিমেরচে সামান্য বড় হলদে ডিম্বাকার একটা কাচ।
এগুলো কী? ফিলোসফারস স্টোন আর অমৃত। এ্যালকেমিস্টদের মাস্টারওয়ার্ক। একবার এ অমৃত পান করলে কখনো অসুখ হবে না। আর ঐ পাথরের টুকরা থেকে একটু অংশ নিলে যে কোন ধাতুকে স্বর্ণ করে ফেলা যায়। এবার আরবরা তাকে নিয়ে তামাশা শুরু করে। সাথে সাথে হেসে ওঠে এ্যালকেমিস্টও। জবাব শুনে ভাল লাগে তাদের, মনে হয় মজা করেছে এ্যালকেমিস্ট। দুজনকেই চলে যেতে দেয়। 'আপনি পাগল নাকি?' যেতে যেতে কথাটা তোলে ছেলেটা, 'কোন দুঃখে করলেন কাজটা?' 'তোমাকে জীবনের এক সাধারণ শিক্ষা দেয়ার জন্য। তোমার ভিতরে অসাধারণ কোন সম্পদ থাকলে তা লোককে বলে বেড়ালে খুব বেশি মানুষ। বিশ্বাস করবে না।'
এগিয়ে যায় তারা। যত এগিয়ে যায় তত নিশ্চুপ হয়ে পড়ে ছেলেটার হৃদয়। এখন আর তা খুব বেশি কিছু জানতে চায় না। হৃদয় শুধু ভুবনের আত্মার কাছ থেকে শিখতে থাকে। ছেলে আর তার হৃদয় এখন বন্ধু। বন্ধুরা বিশ্বাসঘাতকতা করে না। একবার কথা বলে ওঠে হৃদয়। জানায়, মরুভূমির নৈঃশব্দ নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। বলে, ছেলেটার সবচে বড় সম্পদ হল, সে সব ভেড়া বিকিয়ে দিয়ে লক্ষ্যের পথ ধরতে পেরেছিল, কাজ করেছিল স্ফটিকের দোকানে।
আরো একটা কথা বলে যা সে কখনো খেয়াল করেনি: বাবার কাছ থেকে নেয়া রাইফেলটা হৃদয় লুকিয়ে ফেলেছিল যাতে সে নিজের ক্ষতি করে না। ফেলে। আরেকবার আরো একটা কান্ড করে বসে সে। ছেলেটার মনে আছে কিনা জানে না, একবার মাঠের ভিতরেই বমি করে করে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। ব্যাপারটা খারাপ মনে হলেও আসলে পথে অপেক্ষা করছিল দুজন চোর। তারা ছেলেটাকে একেবারে মেরে ফেলে ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিল ভেড়ার পাল। কিন্তু অজ্ঞান হয়ে থাকায় তার আর সময়মত যাওয়া হয়নি। চোররা ভেবে বসে আছে সে অন্য পথ ধরেছে।
মানুষের হৃদয় কি সব সময় তাকে সহায়তা করে?' প্রশ্ন তোলে ছেলেটা এ্যালকেমিস্টের কাছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শুধু তাদের হৃদয়, যারা লক্ষ্য লক্ষ্য করে এগিয়ে যায়। কিন্তু তারা সব সময় সহায়তা করে বাচ্চাদের, মাতালদের আর বয়েসিদের। 'তার মানে আমি কখনো হুট করে বিপদে পড়ব না?' মানে হল, হৃদয় তাই করে যা পারে।' জানিয়ে দেয় এ্যালকেমিস্ট। আরেক বিকালে তারা সৈন্যদের তাবুর পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। ঘাটির প্রত্যেক পাশে সাদা আলখেল্লায় সজ্জিত সৈনিক। অস্ত্র তাক করা। কিন্তু তারা যুদ্ধের খোশগল্প আর হুকা নিয়ে এত ব্যস্ত ছিল যে দুজনকে দেখেনি। 'আর ভয় নেই,' এলাকাটা পেরিয়ে যাবার পর বলে ছেলে।
এবার রেগে ওঠে এ্যালকেমিস্ট, 'তোমার হৃদয়ের উপর বিশ্বাস রাখ,ভূলে যেও না যে আসলে আছ এক মরুভূমির মাঝখানে। লোকে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে পৃথিবীর আত্মা যুদ্ধের চিৎকার শুনতে পায়। এক সূর্যের নিচে কেউ ঘটনার সূত্র থেকে আসা সমস্যার বাইরে নয়। সব আসলে একই ভাবে ছেলেটা। তারপর, মরুভূমির যেন ইচ্ছা হল এ্যালকেমিস্টের কথা সত্যি করে দেখানোর। পিছন থেকে ধেয়ে এল দুজন ঘোরসওয়ার। আর যেতে পারবে না তোমরা,' বলল একজন, 'যুদ্ধক্ষেত্রে আছ এখন। "খুব বেশি দূরে যাচ্ছি না।' জবাব দিল এ্যালকেমিস্ট, সেই লোকটার চোখে চোখে তাকিয়ে। তারা চুপ করে থাকে কিছুক্ষণ। তারপর জানায়, যেতে পারবে।
তুমি চোখের দৃষ্টি দিয়ে ঘোরসওয়ারদের কুপোকাৎ করে দিয়েছ! যেভাবে তাকিয়েছ তাকেই তাদের দৃষ্টিরচে তোমার দৃষ্টির প্রখরতা বেশি মনে হয়।' বলল ছেলেটা অবাক হয়ে। চোখ আসলে আত্মার শক্তি প্রদর্শন করে। আসলেই, অনুভব করে ছেলেটা, সেই প্রহরীদের মধ্যে একজন এত দূর থেকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তাদের দিকে। অবশেষে পুরো দিগন্তজুড়ে হাজির হয়েছে পর্বতমালা। পিরামিডে যেতে
আর মাত্র দুদিন বাকি। আমরা যদি আলাদা পথে সরে যাই,' বলে ছেলেটা, 'তাহলে আমাকে এ্যালকেমি থেকে কিছু শিক্ষা দাও। *তুমি এর মধ্যেই এ্যালকেমি শিখে গেছ। ব্যাপারটা হল, বিশ্বের আত্মার ভিতর দিয়ে প্রবেশ করতে হবে, তারপর আবিষ্কার করতে হবে ভিতরে তোমার জন্য রাখা সম্পদটুকু। “না, তা বলছি না। শীসাকে সোনায় রূপান্তরের কথা বলছি।'
মরুভূমির মত চুপ হয়ে যায় এ্যালকেমিস্ট। খাবার জন্য থামার পর জবাব দেয়। সৃষ্টি জগতের সবকিছুই আসলে তৈরি হয়েছে, আর জ্ঞানীদের জন্য সবচে বেশি বেড়েছে যেটা তা হল স্বর্ণ। কেন? জিজ্ঞেস করোনা। জানি না আমি। শুধু জানি, ঐতিহ্য সব সময় ঠিক। মানুষ কখনো জ্ঞানীদের কথা বোঝে না। তাই বিবর্তনের একটা ধারা হিসাবে প্রকাশ পাবে স্বর্ণ, তা না, প্রকাশ পেল সংঘাতের মূলসূত্র হিসাবে। "কিন্তু জিনিসেরা নানা ভাষায় কথা বলে,' বলল ছেলেটা, এককালে আমার কাছে উটের ডাক সামান্য এক ডাক ছাড়া আর কিছু ছিল না। পরে এটাই হয়ে উঠল বিপদের গন্ধ। সবশেষে আবার সামান্য এক ডাক।
তারপর সে চুপ হয়ে যায়। এসব কথা এ্যালকেমিস্টের অজানা নয়। "আমি সত্যিকার এ্যালকেমিস্টদের চিনতাম,' বলে এ্যালকেমিস্ট, 'তারা নিজেদের সর্বক্ষণ ল্যাবরেটরিতে আবদ্ধ করে রাখে, চায় স্বর্ণের মত বিবর্তিত হতে। তার পরই তারা আবিষ্কার করে ফিলোসফারস স্টোন। কারণ যখন কোনকিছু বিবর্তিত হয়, বিবর্তিত হয় আশপাশের সবকিছু নিয়ে।
বাকিরা হঠাৎ করে পরশ পাথরের সন্ধান পেয়েছে। আগেভাগে পেয়ে বসেছিল উপহারটা। কিন্তু তাদের আত্মা অন্যদের আত্মারচেও বেশি দামি কিছুর অপেক্ষা করছে। এমনধারা লোক পাওয়া খুব মুশকিল। 'আরো এক ধরনের এ্যালকেমিস্ট আছে। তাদের একমাত্র কামনা স্বর্ণ । কখনো পায়নি রহস্যের সন্ধান। ভুলে গেছে যে সীসা, তামা আর লোহাকে তাদের নিজ নিজ লক্ষ্য পূরণ করতে হবে। আর যখন কেউ অন্যের লক্ষ্যে হস্ত ক্ষেপ করে তারা কখনো নিজেরটুকু পূরণ করতে পারে না।
বাতাসে বাতাসে এ্যালকেমিস্টের কথাটুকু অভিসম্পাতের মত ধ্বণিত প্রতিধ্বণিত হয়। এগিয়ে যায় তারা সামনে। মাটি থেকে কুড়িয়ে নেয় একটা খোলস। এ মরুভূমি আসলে এককালে সাগর ছিল।' বলে সে। খেয়াল করেছি। কানের উপর খোলসটা বসিয়ে নিতে বলে এ্যালকেমিস্ট। ছেলেবেলায় এমন কাজ অনেকবার করেছে সে। শুনেছে সাগরের ডাক। *এই সামান্য খোলের ভিতরে বেচে আছে সমুদ্র। কারণ এটাই তার লক্ষ্য। এখানে আবার সাগর আসা পর্যন্ত এ শব্দ চলতেই থাকবে। তারা উঠে বসে ঘোড়ার উপরে। তারপর যেতে থাকে মিশরের পিরামিডের দিকে।
মনে বিপদের কথা আসার সময় সূর্য ডুবে যাচ্ছিল। হঠাৎ ছেলেটা টের পায়, চারপাশে বিশাল সব বালির ঢিবি। এ্যালকেমিস্ট খেয়াল করেছে নাকি ব্যাপারটা? কিন্তু তাকে একটুও বিচলিত মনে হয় না। পাঁচ মিনিট পর দেখা গেল সামনের ঢিবিতে অপেক্ষা করছে দুজন ঘোরসওয়ার। এ্যালকেমিস্টের উদ্দেশে কিছু বলার আগে তাদের সংখ্যা দাড়ায় দশজনে। তারপর একশ। তারপর ঢিবির চারপাশে।
বই: দ্য এ্যালকেমিস্ট
লেখক: পাওলো কোয়েলহো,
অনুবাদক: মাকসুদুজ্জামান খান
পৃষ্ঠা: ৫৩
দ্য এ্যালকেমিস্ট pdf download করতে নিচে ডাউনলোড বাটন ক্লিক করুন।