আসমানি আদালত pdf download, লাবীব আবদুল্লাহ বই pdf download, asmani adalat pdf download |
একটু পড়ুন:
পাপের প্রতিশোধ
বড় এক ব্যবসায়ী।
তার ব্যবসা ছিলো ইরাক থেকে সিরিয়া। সে সিরিয়ায় শস্য বিক্রি করতো। সেখান থেকে আমদানি করতো সাবান ও বস্ত্র। লোকটি ছিলো ধার্মিক। লভ্যাংশ দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করতো। জাকাত দিতো। দান-খয়রাতও করতো নিঃস্বদের মাঝে। সে মানুষের প্রয়োজন পূরণ করতো। কোনো ভিক্ষুককে ফিরিয়ে দিতো না। সে বলতো, সম্পদের জাকাত সম্পদ। সম্মানের জাকাত হলো অভাবীদের প্রয়োজন পূরণ করা। সে মহল্লার অসুস্থদের সেবা করতো। প্রতিদিন খোঁজ নেয়ার চেষ্টা করতো। বাসার কাছে ছোট্ট মসজিদে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করতো। মসজিদের প্রতিবেশী সবার ব্যাপারে খোঁজ নিতো। প্রতিবেশী কেউ অসুস্থ হলে সে তাঁর খোঁজ নিতো। কারো আর্থিক প্রয়োজন থাকলে তা পূরণ করতো। মুনাফিকদের পরিবারেরও সে দেখভাল করতো।
সেই ব্যবসায়ীর ছিলো এক ছেলে ও এক মেয়ে। তারা উভয়ই প্রাপ্তবয়স্ক ছিলো। একদিন সে তার একমাত্র ছেলেকে ব্যবসায়ী কাজে সিরিয়ায় যাওয়ার প্রাক্কালে বললো, আমি বুড়ো হয়েছি। সফরে আগের মতো সামর্থ্য নেই আমার।
আল্লাহর রহমতে তুমি এখন যৌবনে। শস্যভাণ্ডার নিয়ে তুমি সিরিয়ার হালবে যেতে পারো। ফেরার সময় সাবান ও কাপড় নিয়ে আসবে। তাকওয়া অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করবে। আর আল্লাহকে ভয় করে চলবে! তোমার বোনের ইজ্জত রক্ষা করবে তুমি। এই ঘটনা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগের। তখন ছিলো না রেলপথ। ছিলো না সড়ক ও জনপথ ।
দুই
ছেলে তার বাবার ব্যবসা নিয়ে নানা মনজিলে সফর করলো। রাত জেগে সে বাণিজ্যকাফেলার পাহারাদারী করতো। তাদের স্বার্থ রক্ষা করতো। কাফেলার লোকদের অবস্থার খোঁজ রাখতো। হলব শহরে শস্য বিক্রি করলো। উন্নতমানের সাবান ও কাপড় ক্রয় করলো। ব্যবসার কাজ শেষে একসময় মুসেলের দিকে ফেরার প্রস্তুতি নিলো। হলব থেকে ফেরার কিছুদিন আগের কথা, সে রূপসী এক মেয়েকে
দেখলো। মেয়েটির সৌন্দর্যে সে মুগ্ধ হয়ে গেলো। মেয়েটি প্রেম জাগিয়ে তুললো তার মনে । সূর্যাস্তের পর। তার কুপ্রবৃত্তি মেয়েটির কপালে চুমু এঁকে দিতে তাকে প্ররোচিত করলো। কিছু না ভেবেই মেয়েটিকে সে চুমু দিয়ে বসলো।
চুমু দিয়েই সরে পড়লো এবং মেয়েটিও চলে গেলো। এবার সে নিজের আচরণে লজ্জিত হলো। নিজেই নিজেকে তিরস্কার করতে লাগলো । সাথীদের কাছে বিষয়টি গোপন রাখলো সে। কারো কাছেই কিছু বললো না। কিছুদিন পর স্বদেশে ফিরলো । সফরে থাকাকালীন সময়ের কথা।
একদিন তার পিতা ঘরের আঙ্গিনায় পায়চারি করছিলো। ভিস্তিওয়ালা এসে দরজায় কড়াঘাত করলো। দরজা খোলার জন্য তার বোন বের হয়ে এলো। ভিস্তিওয়ালা পানির মশক বহন করছিলো। সে মেয়েটির প্রেমে আকৃষ্ট হলো। যুবকের বোনটি দরজা বন্ধ করার অপেক্ষায় ।
পানিবিক্রেতা চলে গেলেই সে বন্ধ করবে দরজা। শূন্য কলসি নিয়ে ভিস্তিওয়ালা ফিরে এলো দরজায় এবং দ্রুত মেয়েটিকে চুমো দিয়ে বসলো । কোন দিকে না তাকিয়ে পানিবিক্রেতা দ্রুত প্রস্থান করলো । কামরার জানালা থেকে সব দেখলো মেয়েটির পিতা। চুমুর দৃশ্য। মনে মনে বারবার পড়লো লা হাউলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম। পানাহ আল্লাহর । পিতাও কিছু বললো না। বললো না মেয়েও কিছু । দ্বিতীয় দিন। পানিবিক্রেতা নিয়মমাফিক সেই লোকটির ঘরে এলো। লজ্জায় মাথা নিচু করে রাখলো।
মেয়েটি তার জন্য দরজা খুলে দিলো। কিন্তু এবার ভিস্তিওয়ালা আগের মতো আচরণ করলো না। দীর্ঘ দু'বছর ধরে সে এই বাসায় পানি সাপ্লাই দেয়। মহল্লাহর সবগুলো বাসায় সে পানি বিতরণ করে। কোনোদিন কেউ তার ব্যাপারে বিন্দুমাত্র সন্দেহ করেনি। কোনো মেয়ের প্রতি কখনো অবৈধ দৃষ্টিপাত করার ইচ্ছেও হয়নি তার। বয়স তার পঞ্চাশের কোঠায়। যৌবনের উদ্দামতাও হারিয়ে গিয়েছে। সে লাগামহীন, উদ্দাম ও অহংকারীও ছিলো না ।
তিন
ব্যবসায়ী যুবকটি মুসেলে ফিরলো। সুস্বাস্থ্য ও সম্পদের প্রাচুর্য নিয়ে। পিতা তার সুস্থতা ও সম্পদে সন্তুষ্ট হলো না। ছেলেকে তার ব্যবসার লাভ-ক্ষতি, সফরের আনন্দ বেদনা এবং হলবে ব্যবসায়ী অংশীদারদের সম্পর্কেও কোন প্রশ্ন করলো না। প্রথমেই পিতা ছেলের কাছে জানতে চাইলো, মুসেল ছেড়ে যাওয়ার সময় থেকে ফেরা পর্যন্ত কী কী কাজ করেছো তুমি? যুবক ব্যবসা সম্পর্কে বলতে শুরু করলো। পিতা কথা বন্ধ করে দিয়ে জিজ্ঞেস করলো, তুমি কি কোনো মেয়েকে চুমু দিয়েছো? কখন? কবে? যুবক লজ্জিত হলো এবং অস্বীকার করলো।
যুবকের চেহারা লাল হয়ে গেলো এবং সে ইতস্তত করতে লাগলো । মাথা নিচু করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো। কিছুক্ষণের জন্য ঘরের ভেতর যেন সময় থেমে গেলো । অবশেষে তার পিতা বললো, তোমাকে তোমার বোনের ইজ্জত সংরক্ষণ
করতে বলেছিলাম। কিন্তু তুমি তা করোনি। এরপর তার বোনকে ভিস্তিওয়ালার চুম্বনের কথা বললো। কীভাবে চুমু দিয়েছে তাও বললো। মূলত এই চুমু সেই চুমুর বদলা। ঋণ পরিশোধ।
যুবক বিচলিত হয়ে স্বীকার করলো তার অপরাধের কথা । পিতা তার প্রতি তার বোন ও নিজের প্রতি ভীত হয়ে বললো, আমি অবৈধভাবে কোনো আঁচল উন্মোচন করিনি। আমি মানুষের ইজ্জত- আব্রু রক্ষা করি। কোনো স্খলন নেই আমার জীবনে এবং অশ্লীলতাও নেই। তাই আল্লাহর কাছে আমার সুধারণা- আমার পাপের কারণে তা হয়নি।
পানিবিক্রেতা যখন তোমার বোনকে চুমু দিলো তখন আমি নিশ্চিত হলাম—তুমি নিশ্চয় কোনো মেয়েকে চুমু দিয়েছো। তোমার অন্যায়ের প্রায়শ্চিত্ত করেছে তোমার বোন। একেই বলে যেমন কর্ম তেমন ফল । পাপের প্রতিশোধ।
কর্নেল
এক
বৈরুত। একটি হাসপাতালে ভর্তি হতে বাধ্য হলাম ।
১৯৭২ সালের এক গ্রীষ্মকালে। আমার শারীরিক অবস্থা লুকানোর চেষ্টা করলাম স্বজন ও বন্ধুদের কাছ থেকে। কিন্তু দুঃসংবাদ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ভালো খবর ধীরগতিতে প্রচারিত হয়। বন্ধুরা আমাকে দেখার জন্য এলো। খবর না দেওয়ার কারণে তিরস্কার করলো। ফুল ও মিষ্টি নিয়ে আমাকে দেখে গেলো । হাসপাতালে সরকারি চাকরিরত এবং অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন রোগী আমার প্রতিবেশী ছিলো। আমার ইচ্ছে হলো, তাদের সঙ্গে পরিচিত হবো এবং তাদের সমব্যথী হবো। এটির উপায় হলো, ফুল ও মিষ্টিসহ তাদের কাছে হাজির হওয়া। উপহারে কিছু ভালোবাসার কথাও লিখে দেবো। কিছু হাদিয়া দিতে ইচ্ছে হলো নার্সদের। এতে পরে পরস্পরে সম্পর্ক বৃদ্ধি হবে ।
একটি ফুলের তোড়া দিতে চাইলাম এক সেনা অফিসারকে। সেও রোগী। বিনিদ্র রাত কাটে তার। অন্যদেরকেও ঘুমুতে দেয় না । এক সেবিকা এসে আমাকে বললো, এই সেনা অফিসারের সাথে কি আপনার পূর্বপরিচয় আছে?
আমি বললাম, না; কিন্তু সে নিজেও ঘুমায় না। অন্যকেও ঘুমোতে দেয় না। আমাকেও বিরক্ত করে। আমার উপহার পেলে হয়তো আমার প্রতি সদয় হবে এবং আমাকে নির্বিঘ্নে ঘুমুতে দেবে। সেবিকা বললো, হলে হতেও পারে। আমি সেবিকার কাছে জানলাম সেই সেনা অফিসার কয়েক মাস যাবৎ হাসপাতালে। নিয়মিত রোগী। পরিবারে কয়েকদিন কাটিয়ে আবার হাসপাতালে ফিরে আসে। সেবিকা বললো, হয়তো দ্রুতই ওপারে চলে যাবে। সেও আরাম পাবে। আমরাও তার বিরক্তি থেকে রেহাই পাবো।
দুই
সেই সেনা অফিসার নিজেকে কর্নেল বলে পরিচয় দিতো। ডাক্তার, সেবক-সেবিকা সবাই তাকে কর্নেল ডাকতো । সে ছিলো প্রবীণ সেনা অফিসার। ফরাসি নিরাপত্তাবাহিনীতে সে চাকরি করতো। লেবানন তখন ফরাসিদের উপনিবেশ। তখনও সেনাবাহিনীতে ফরাসি পরিভাষাই প্রচলিত ছিলো । পরিভাষাগুলোর আরবিকরণ তখনও হয়নি। সেই রোগী সেনা অফিসারের মেধা ছিলো সজাগ। কথাও স্পষ্ট।
স্মৃতিশক্তিও প্রবল। হৃদপিন্ড সচল ছিলো তার। প্রাণের এতটুকু স্পন্দনই কেবল তার জীবনে অবশিষ্ট ছিলো। এর বাইরে নানা রোগের আক্রমণ ছিলো তার শরীরে। প্রেসার, ডায়েবেটিস, শিরা-উপশিরা শক্ত হয়ে যাওয়া, ধমনী দুর্বলতা, রক্তে বিষক্রিয়া, কিডনি ড্যামেজ হওয়া, শরীর থেকে গোশতের টুকরো পড়ে যাওয়া এবং আরও নানাবিধ জটিলতা।
সে দিনে জেগে থাকতো। তার কাছে মনে হতো সে সুস্থ। কিন্তু রাতে আবার থাকতো বিধ্বস্ত। রাতে তার মনে হতো দুয়েক ঘণ্টার বেশি সে বেঁচে থাকবে না। ব্যথার কারনে সে নার্সদেরকে ডাকতো। চিৎকার করতো। কখনো সে ট্রেন থামিয়ে দেয়ার বৈদ্যুতিক ঘণ্টা বাজিয়ে দিতো।
তার ডাক শুনে সেবিকা বা সেবক যখন এসে কোনো সমস্যা পেতো না, তারা তাদের পথে চলে যেতো। নার্সরা তাদের জায়গায় পৌঁছার পরপরই আবার ডাক শুরু হতো একবার। দুইবার। তিনবার। এভাবে সূর্যোদয় পর্যন্ত চলতো তার এই চিৎকার ও ডাকাডাকি । ডেকে ডেকে যখন তার আওয়াজ ক্ষীণ হয়ে যেতো তখন সে বৈদ্যুতিক
ঘণ্টা বাজাতো। সে বাটনে অবিরাম চাপ দিয়ে রাখতো। নার্স আসার পরও সে একইভাবে চিৎকার চেঁচামেচি করতো। সেবিকা তাকে সারারাত সঙ্গ দেবে এই প্রত্যাশা করতো সে। তার চাহিদার কথা শুনে সেবক-সেবিকা সাহায্য করতে এলেও কিছুক্ষণ পর সে তাদের নাম ভুলে যেতো। এরপর যথারীতি চিৎকার দিয়ে বাজাতে থাকতো বৈদ্যুতিক ঘণ্টা।
তিন
এই রোগীর সাথে আমি সাক্ষাৎ করলাম। সে তার জীবনের গল্প বললো। সে বললো আমি চাকরি করতাম ফরাসি নিরাপত্তা বিভাগে। আমার পদ-মর্যাদা ছিলো কর্নেল। আঞ্চলিক পুলিশদের পরিচালনা করতাম। বৈরুতবাসী আমাকে প্রচণ্ড ভয় পেতো। আমার নাম শুনে বীর বাহাদুররাও ভীত- কম্পিত হতো। সন্ত্রস্ত থাকতো ।
ফরাসিদের আমার ওপর আস্থা ছিলো। ছিলাম তাদের বিশ্বস্ত। আমি ছিলাম তাদের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। আমি তাদের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি দায়িত্ব পালন করতাম। ফরাসিরা কোনো অপরাধের তদন্তে ব্যর্থ হলে অভিযুক্তকে আমার দায়িত্বে পাঠাতো। আমি শক্তি প্রয়োগ করে অপরাধের স্বীকৃতি আদায় করতাম। কারো প্রতি দয়া-অনুকম্পা করতাম না। নতুন নতুন শাস্তি উদ্ভাবন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতাম অপরাধীর ওপর। অপরাধীরা দুর্বল ও ক্লান্ত হয়ে ফরাসিরা যা চাইতো বা আমি যা চাইতাম সেগুলোর স্বীকারোক্তি দিতো। এরপর অপরাধীকে আদালতে উঠানো হতো। আদালত শাস্তির ঘোষণা করতো। রায় দিতো।
আমার শাস্তির প্রকার ছিলো ৮৪ ধরনের। রোগী আমাকে ৮৪ প্রকার অত্যাচারের বিবরণ দিলো।
বিবরণ শুনে আমি শিউরে উঠলাম। এরপর সে বললো- আমি এখন আল্লাহ প্রদত্ত শাস্তি ভোগ করছি। আমি অনেক নিরপরাধকে আদালতে হাজির করে শাস্তির ব্যবস্থা করেছি। অনেক পুণ্যবানকে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছি। আমার প্রভু ফরাসিদের সমষ্টির জন্য এসব করেছি।
বৈরুত থেকে একসময় চলে যায় ফরাসিরা। কর্নেলকে জনতা অভিশাপ বর্ষণ করে। নিজের স্ত্রী, পুত্র, স্বজনও অভিশাপ দিতে থাকে অত্যাচারী কর্নেলকে। কেউ তাকে ভালোবাসার চোখে দেখতো না। সবার প্রত্যাশা ছিলো দ্রুত তার মৃত্যু হোক। হাসপাতাল ও বাসায় সে চিৎকার করে সবাইকে বিরক্ত ও কষ্ট দেয় । সে অন্যকেও কষ্ট দেয় এবং নিজেকেও। কর্নেলের প্রভুরা চলে গিয়েছে। সে জনতা ও পরিবারের ঘৃণার পাত্র হিসেবে পরিগণিত। একসময় সে রাতেরবেলা অনেককে শিকার বানিয়ে শাস্তি দিতো। আল্লাহও তাকে রাতে শাস্তি প্রদান করেন।
শাস্তিপ্রাপ্তদের অঙ্গে অঙ্গে শাস্তি প্রয়োগ করতো সে। আজ তার অঙ্গে অঙ্গে রোগ। শাস্তি। আল্লাহ তার কথা বলার শক্তি বাকি রেখেছেন। যেনো সে তার কৃত অপরাধ মানুষকে বলতে পারে। আল্লাহ তার স্মৃতিশক্তি সতেজ রেখেছেন। যেনো সে লজ্জিত হতে পারে। এখন লজ্জিত হয়েও কোনো লাভ নেই । তার হৃদযন্ত্রের স্পন্দন এখনও সচল। যেনো পার্থিব শাস্তি সে ভোগ করতে পারে। আখেরাতের শাস্তি আরো কঠোর ও ভয়াবহ । মানুষ কি দৃষ্টান্ত থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে?
- তোমরা বাস করতে তাদের বাসস্থানে, যারা নিজেদের ওপর অত্যাচার করেছিলো এবং তোমাদের কাছে স্পষ্ট হয়েছিলো যে, আমি তাদের সাথে কীরূপ ব্যবহার করেছিলাম। আর আমি তোমাদের কাছে তাদের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছিলাম।” (সুরা ইবরাহিম, আয়াত ৪৫)
FAQ
বই: আসমানি আদালত
লেখক : ব্রি. জেনারেল মাহমুদ উশ শওকত
অনুবাদ: লাবীব আবদুল্লাহ
প্রকাশনী : নবপ্রকাশ
বিষয় : ইসলামী সাহিত্য
আসমানি আদালত pdf download করতে নিচে ডাউনলোড বাটন ক্লিক করুন।