দ্য ইন্ড অফ মেন্টাল ডিসঅর্ডার pdf ডাউনলোড

দ্য ইন্ড অফ মেন্টাল ডিসঅর্ডার pdf download, কামরুন নাহার মুক্তি বই pdf download, the end of mental disorder pdf
দ্য ইন্ড অফ মেন্টাল ডিসঅর্ডার pdf download, কামরুন নাহার মুক্তি বই pdf download, the end of mental disorder pdf


মানসিক স্বাস্থ্য

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, স্বাস্থ্য হলো ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক এই তিন অবস্থার একটি সুস্থ সমন্বয়। সুতরাং আমরা বলতে পারি, একজন মানুষের স্বাস্থ্য হলো রোগবালাই মুক্ত সুস্থ শরীর এবং সেই সঙ্গে ভয়, হতাশা, বিষণ্ণতা, মানসিক চাপ থেকে মুক্ত মন এবং সমাজের নানাবিধ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে সক্ষম মন। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, সুস্থতা বলতে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতাকে বোঝায়। আর মানুষের চিন্তা, আবেগ ও আচরণ এ তিন মিলে মানসিক স্বাস্থ্য। এককথায় মানসিক স্বাস্থ্য বলতে বোঝায়, “Full and harmonious functioning of whole personality i"

শারীরিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে আপনারা যেমন সচেতন, মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারেও সচেতন থাকা দরকার। হাত-পা কেটে গেলে যেমন আমরা চিল্লাচিল্লি, দৌড়াদৌড়ি লাগিয়ে দেই, ব্যান্ডেজ করি, পানি ঢালি ও পরিষ্কার করি। এমনভাবে অনেকেই হয়তোবা মানসিকভাবে আঘাত পায়, কেউ কোনো কথা বলছে আর তাতে আমরা কষ্ট পাই, কারো ব্যবহারে কষ্ট পাই। এই যে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য, এটার ব্যাপারে আমরা সচেতন না। এই সমস্যার কথা আবার কাউকে বলাও যায় না। বললে বলে, 'আরে ধুর! এটা কোনো সমস্যা হলো! পাগলের ডাক্তার লাগবে নাকি!' তাহলে মানসিক সমস্যা মানেই আমাদের সমাজে ধরেই নেওয়া হয় পাগলের ডাক্তার লাগবে, পাগলাগারদে পাঠাতে হবে। এই তথাকথিত প্রচলনের কারণে অনেকে বলতেই চায় না তার কোনো মানসিক সমস্যা আছে। যার কারণে তারা মানসিক যে পীড়ার মধ্যে আছে, সেটা জমতে জমতে অনেক বড় কিছু হয়ে যায়।

মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার উপায় : 

১. Exercise : যেদিন সকালে আপনি বেশি ঘুমান, ১২টা পর্যন্ত, সেদিন দেখবেন একটু পরে খাওয়ার পর আবার ঘুম পাবে। তার কারণ হলো আপনার বডি রেস্ট নেওয়ার সঙ্গে আসতে আসতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে, বডি আরও ঘুম চাচ্ছে। অন্যদিকে আপনি যদি সকালে একটু এক্সারসাইজ করেন, একটু হাঁটেন, বিকেলে খেলেন বা দৌড়াদৌড়ি করেন, তাহলে দেখবেন বড়ি সতেজ লাগবে। ঘুমঘুম ভাব, অবসাদ অতটা আসবে না। আবার এক্সারসাইজ করলে বডিতে সেরোটোনিন নামের হরমোন নিঃসৃত হয়। এটি এমন একটি হরমোন যা মানুষের হাসিখুশির সাথে সম্পর্কিত ।


২. পানি খাওয়া: মানুষের শরীরের ৭০ শতাংশ পানি। অনেক সময় পড়তে বসে ঘুম আসে। দুই গ্লাস পানি খেয়ে আসুন বা এক গ্লাস পানি খেয়ে আসুন, দেখবেন আপনার ঘুম কেটে গিয়েছে।

৩. পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ : বিভিন্ন গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এটাই দেখেছেন যে, সুষম ও পুষ্টিকর খাবার শুধু শরীরই নয়, মনও ভালো রাখে। ভিটামিন বি-১২, ওমেগা-৩, ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার আমাদের মস্তিষ্কের আবেগ নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনগুলোকে চাঙা রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া তাজা ফলমূল, সবজি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পুষ্টিকর খাবার খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে আমাদের শারীরিক ও মানসিক উভয় স্বাস্থ্যই ভালো থাকে।

৪. মেডিটেশন : মেডিটেশনের অনেক উপায় আছে। একটি ইন্টারেস্টিং উপায় হলো Guided meditation। ইউটিউবে guided meditation লিখে সার্চ করলে প্রচুর ভিডিও পাবেন। Guided meditation মানে কেউ একজন আপনাকে গাইড করবে। অথবা নামাজ পড়ুন। নামাজ খুব ভালো একটি মেডিটেশন। আপনি যদি কী বলছেন আরবিতে, ওটা বুঝে পুরো নামাজ পড়েন, দেখবেন সেটাও একটা খুব ভালো মেডিটেশন হিসেবে কাজ করছে।

৫. মিডিয়া এক্সপোজার কমিয়ে ফেলুন : আপনি দিনের কতটুকু সময় খবরের সঙ্গে থাকবেন, সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে থাকবেন- সেটা নির্ধারণ করে ফেলুন। কারণ সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক খবর শেয়ার করা হয়, তার মধ্যে ভালো খবর যেমন থাকে তেমন এমন কিছু খবর থাকে যা আপনার উদ্বেগ বাড়ায়। যেসব পেইজ, প্রোফাইল আপনার অ্যানজাইটি বাড়ায়, সেগুলো আপাতত মিউট করে রাখাই ভালো। ফোনে যদি নোটিফিকেশন, ব্রেকিং নিউজ অ্যালার্ট থাকে, সেগুলো আপাতত বন্ধ করে দিতে পারেন। আপডেটেড থাকাও জরুরি। তবে নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে খবর জানুন। তারপরও খবরের সঙ্গে খুব বেশি সময় ধরে না থাকাই শ্রেয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


৬. প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান: প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটালে মন ভালো থাকে। সোশ্যাল এন্টারঅ্যাকশন, একে-অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, সাপোর্ট দেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনার কলিগ, বন্ধু-বান্ধব, পরিবারের যাদের সঙ্গে একটা মিনিংফুল সময় কাটাতে পারবেন, তাদের সঙ্গে কিছুটা সময় ব্যয় করুন। পরিবার দূরে থাকলে ভিডিও কল ব্যবহার করতে পারেন। আপনার পজিটিভ এক্সপেরিয়েন্সগুলো শেয়ার করুন। আবার দুশ্চিন্তাগুলো নিয়েও কথা বলা উচিত। কারণ সেগুলো যদি শুধু নিজের মধ্যে রেখে দেন, আস্তে আস্তে অ্যানজাইটি দানা বাঁধবে। তাই যাদের বিশ্বাস করতে পারেন, তাদের সঙ্গে দুশ্চিন্তাগুলো শেয়ার করার চেষ্টা করবেন।

৭. কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা: একটি খুব ভালো অভ্যাসের কথা বলি। আপনি প্রতিদিন রাতে তিনটি জিনিস লিখুন, যে তিনটি জিনিসের জন্য আপনি আজকের দিনটির কাছে কৃতজ্ঞ অর্থাৎ গ্রেটফুলনেস যখন আপনি প্রকাশ করবেন, তখন আপনার অনেক ভালো লাগবে। তিনটি জিনিস হতে পারে- আজকে আপনার প্রোপারলি ৮ ঘন্টা ঘুম হয়েছে, আজকে আপনার বাবা বাজার থেকে আপনার জন্য কিছু এনেছেন, অনেক পুরোনো কোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়েছে।

যখন লাইফের ছোট ছোট বিষয়গুলো লিখে রাখবেন তখন মনে হবে যে, হ্যাঁ আমার লাইফে ভালো কিছু আছে। কিছু লিখতে পারবেন না যখন, শুধু লিখেন আপনি আজ জীবিত ঘুম থেকে উঠতে পেরেছেন। অনেকেই তো ঘুমের মধ্যে মারা যায়।


এই যে কৃতজ্ঞতাগুলো প্রকাশ করছেন, প্রতিদিন ডায়রিতে তিনটি করে

লিখে রাখছেন, এটার জন্য দেখবেন আপনি ডেইলি রাতের ওই মোমেন্টের

জন্য অপেক্ষা করছেন। কারণ ওই মোমেন্টের তিনটি জিনিস দেখার ফলে আপনার অনেক ভালো লাগছে।

৮. শারীরিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন : শারীরিক স্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্য একটা আরেকটার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই নিজের শরীরের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা- এগুলো শরীর সুস্থ রাখবে। অনেকের রুটিন উল্টোপাল্টা হয়ে গেছে অনেকদিন ধরে লকডাউনে থাকায়। এখন যদি দিনগুলো একটু গুছিয়ে এনে ঘুমের সিডিউল ঠিক করা যায় তাহলে আপনার শরীর ভালো থাকবে। আর সেটা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখবে।

৯. To do list: প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে পরের দিন কী কী কাজ করবেন, তা যদি লিখে রাখেন তাহলে পরের দিন সকালে উঠে দেখতে পাবেন সেদিন কী কী কাজ আছে আপনার। এরপর একটা একটা করে সে কাজগুলো সম্পূর্ণ করে খাতায় কেটে দেবেন। দেখবেন তখন আলাদা একটা ভালো লাগা কাজ করছে।


একটি কাজ সম্পূর্ণ করে কেটে দেওয়ার মাঝে যে আনন্দ আছে, to do list যে মেনটেইন করেনি, সে বোঝে না। তাই to do list-এ কাজ করার পর কেটে দিবেন। এই কেটে দেওয়ার মাঝে যে আনন্দ আছে তা আপনাকে পরবর্তী কাজ করার অনুপ্রেরণা দেবে। আমি যদি কোনো কাজ করি, কিন্তু সেটা to do list-এ নেই তখন আবার আমি গিয়ে to do list-এ কাজটি লিখি, তারপর কাটি। এই কাটার মধ্যে যে আনন্দ আছে, সেটা আমাকে পরের দুটি কাজের অনুপ্রেরণা দেয়।

১০. ভালো লাগে এমন কাজগুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকুন: মনকে প্রফুল্ল রাখে যে ছোট ছোট কাজগুলো, সেগুলো চালিয়ে যেতে হবে। বই পড়া, কবিতা লেখা, গান গাওয়া, গান শোনা, মুভি দেখা, রান্নাবান্না, মেকাপ, গেমিং, ইয়োগা- যার যেটা ভালো লাগে। এসবের আরেকটি সুবিধা হচ্ছে এই এক্টিভিটি রিলেটেড অনেকগুলো অনলাইন কমিউনিটি আছে। যেমন- বই পড়ার পর একটি বুক রিভিউ পোস্ট করলেন, সে সুবাদে আরও কিছু মানুষের সঙ্গে কথা হলো। তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে টক্সিসিটি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।

১১. নিজের প্রতি বিশ্বাস বাড়ানো: নিজের দুর্বলতাগুলো মেনে নিয়ে নিজের ক্ষমতার ওপর বিশ্বাস রাখলে জীবনে অনেক এগিয়ে যাওয়া যায়। আমরা কেউ-ই নিখুঁত নই। অন্যের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করে হীনম্মন্যতায় ভোগা উচিত নয়। এতে করে হতাশা, বিষণ্ণতা বৃদ্ধি পায়। তার থেকে নিজের দুর্বলতাগুলো মেনে নিয়ে কিংবা তা দূর করার প্রয়াস করলে নিজের প্রতি বিশ্বাস বাড়বে।

১২. লাইফে গোল সেট করা: ফাইনালি আপনার লাইফের জন্য একটি গোল সেট করুন। কারণ আপনার লাইফে যদি কোনো গোলই না থাকে, তাহলে আপনার লাইফ কোন দিকে যাচ্ছে! আপনি কি এমন কোনো বাসে উঠবেন, যে বাস কোথায় যাচ্ছে জানেন না? আপনি যদি একটি বাসেই না উঠেন, যে বাস কোথায় যাচ্ছে জানেন না তাহলে কীভাবে একটা লাইফকে চালাচ্ছেন, যে লাইফ কোথায় যাচ্ছে জানেন না? তেমনভাবে আপনার লাইফের যদি একটা স্পেসিফিক গোল থাকে, তখন লাইফের একটা উদ্দেশ্য আপনি ফিল করবেন, লাইফ মিনিংফুল হবে। তখন দেখবেন প্রতিদিন আপনার কাজ করার ব্যাপারে আগ্রহ জন্মাবে।


সুতরাং এই কাজগুলো চেষ্টা করে দেখুন, একই সঙ্গে আপনার শারীরিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে, তেমনি মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। আপনার লাইফের প্রোডাক্টিভিটি বেড়ে যাবে।

মানসিক ব্যাধি

মানসিক ব্যাধি মন ও আচরণকে প্রভাবিত করে এমন যেকোনো ধরনের জটিলতা। ২০১৩ সালে আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন ডিএসএম- ৫ মানসিক রোগের সংজ্ঞা পুনর্বিন্যাস করে। তাদের মতে, এটি একটি সিনড্রোম যা একজন ব্যক্তির চেতনা, আবেগ নিয়ন্ত্রণ বা আচরণ, জৈবিক বা মানসিক কার্যকারিতার মধ্যে প্রতিফলিত হয়। মানসিক ব্যাধির কারণগুলোর একটি ব্যাপক ব্যাপ্তি আছে এবং অন্য সবকিছুর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। মানসিক আঘাতদায়ক ঘটনা, শৈশবের মানসিক আঘাত, অবহেলা, দুর্ঘটনাজনিত শারীরিক অক্ষমতা, প্রিয়জনকে হারানো, বংশগত গঠনবিন্যাস, মস্তিষ্কে ত্রুটি বা আঘাত, হরমোনজনিত ভারসাম্যহীনতা ইত্যাদি। যদিও বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ বিভিন্ন ধরনের মানসিক রোগে ভুগছে, তথাপি এই রোগটি বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত। বাংলাদেশে এই রোগের ব্যাপকতা সম্ভবত অন্যান্য উন্নত দেশের প্রায় সমান।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে মানসিকভাবে অসুস্থ লোকের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি। জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যৌথ প্রযোজনায় যে জরিপ হয়েছে, সেখানে দেখা গেছে, বয়স্কদের ক্ষেত্রে মানসিক সমস্যায় আক্রান্তের হার ১৬ দশমিক ৮ ভাগ, আর তরুণদের বেলায় তা ১৩ ভাগ। অথচ এই বিশাল জনগোষ্ঠীর বিপরীতে আমাদের চিকিৎসাসেবা দিতে পারেন, এমন মানুষের সংখ্যা মাত্র এক হাজার।

মানসিক রোগ হিসেবে গুরুত্ব দেওয়া ও অন্যান্য শারীরিক রোগের মতো চিকিৎসা করা উচিত। মানসিক রোগ মোকাবিলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সচেতনতা, যা প্রতিরোধ ও প্রতিকার উভয় ক্ষেত্রেই অত্যন্ত জরুরি। বিষণ্ণতা, অ্যানজাইটি, বাইপোলার মুড ডিসঅর্ডার, সিজোফ্রেনিয়া, সাবটেল অ্যাবিউজ, ওসিডি, প্যানিক অ্যাটাক, পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার- মানুষ প্রতিনিয়ত এসবে ভুগছে। একেকটি মানসিক রোগের ধরন ও লক্ষণ একেক রকম। ১০ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। সর্বোপরি, শারীরিক স্বাস্থ্যেও মতো মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে এবং মানসিক রোগ সঠিকভাবে নির্ণয় করে চিকিৎসা নিতে হবে।

ডিপ্রেশন - বিষণ্ণতা নিয়ে কেন কথা বলা দরকার?

প্রায়ই আমাদের কাছে অনেকেই চলে আসেন, এসেই বলেন 'আমি বিষণ্ণত, 'আমি ডিপ্রেশড'। আমরা তাকে জিজ্ঞেস করি যে, কি দেখে বুঝলেন আপনি ডিপ্রেশড? আপনি কেন মনে করেন আপনি বিষণ্ন? তখন কিন্তু তারা বিষণ্নতার সঠিক লক্ষণগুলো ধরতে পারেন না। তাদের মধ্যে ধারণা হয়েছে মন খারাপ থাকা মানেই বিষণ্ণতা। কিন্তু চিকিৎসকরা বলেন, 'না, মন খারাপ ও বিষণ্নতার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কাজেই জানতে হবে মন খারাপ কি? আর বিষণ্ণতা কি? তার আগে আমরা জেনে নিই বিষণ্ণতা নিয়ে কেন কথা বলা দরকার?

প্রধান যে কারণগুলো রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে পৃথিবীতে বর্তমানে প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন লোক এই বিষণ্ণতা ব্যাধিতে ভুগছে, যা তাদের অক্ষমতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে পুরুষদের চেয়ে নারীদের মধ্যে বিষণ্নতার হার দ্বিগুণ। ফলে মেয়েদের বিষণ্নতার লক্ষণগুলো জানা আরও জরুরি।


বিষণ্ণতায় মৃত্যুঝুঁকি অনেক বেশি। বিষণ্ণতা একজন মানুষের মৃত্যুঝুঁকি ২০ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, বিষণ্ণতা যখন একবার কারো মধ্যে দেখা যায় তখন বিষণ্ণতা তার বাড়ির রাস্তা চিনে নেয়। তার মানে একবার বিষণ্ণ হলে, সেখান থেকে সে মুক্তি পেলেও বিষণ্ণতা কিন্তু বারবার আসতে পারে। পরিসংখ্যানে বলে, ৮০ শতাংশ মানুষ একাধিকবার বিষণ্নতায় আক্রান্ত হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে বিষণ্ণতা বার্ডেন তালিকায় ১নং ডিজিজ হিসেবে দেখা যাবে। মানে যত রোগ থাকবে পৃথিবীতে, তার মধ্যে সবার উপরে থাকবে বিষণ্ণতা। বাংলাদেশের চিত্র যদি আমরা দেখি তাহলে দেখবো, আমাদের যে জরিপটি হয়েছিল ২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত, সেখানে আমরা পাই প্রতি ১০০ জন প্রাপ্তবয়স্ক...

বই: দ্য ইন্ড অফ মেন্টাল ডিসঅর্ডার
লেখক : কামরুন নাহার মুক্তি
প্রকাশনী : শব্দশৈলী
বিষয় : মন ও মানসিক কাউন্সেলিং

FAQ
দ্য ইন্ড অফ মেন্টাল ডিসঅর্ডার বইটির মূল্য কত?
বইটির রকমারি.কম মূল্য : TK.280  TK. 241 (14% ছাড়ে)
বইটির ওয়াফিলাইফ.কম মূল্য: 280 ৳ 230 ৳(18% ছাড়ে)

দ্য ইন্ড অফ মেন্টাল ডিসঅর্ডার free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না!

Post a Comment

স্প্যাম কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন! ধন্যবাদ, পিডিএফ বই ডাউনলোড সমস্যা হচ্ছে? এখানে দেখুন>যেভাবে PDF ডাউনলোড করবেন?

Previous Next

نموذج الاتصال