ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান pdf ডাউনলোড, in the hand.of taliban pdf download Bangla |
ইভন রিডলি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৮ সালের ২৩ এপ্রিল। তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট রিডলি বেড়ে উঠেন ইংল্যান্ডের ডারহামের স্ট্যানলিতে। ছোটবেলা থেকেই সংবাদ ও সাংবাদিকতা ছিলো তার ধ্যান-জ্ঞান। তাই নিজের চাকরিজীবন শুরু করেন স্ট্যানলি নিউজ নামের একটি স্থানীয় সংবাদপত্রে। পরবর্তীতে তিনি লন্ডন কলেজ অব প্রিন্টিংয়ে পড়াশোনা করেন। এটা ছিলো তার উপরে উঠার একটা শক্ত সিঁড়ি। এ সিঁড়িতে পা দিয়েই পরবর্তীতে তিনি বিখ্যাত সব সংবাদমাধ্যমে কাজ করার সুযোগ পান। যেমন- দ্য সানডে টাইমস, দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট অন সানডে, দ্য অবজারভার, ডেইলি মিরর এবং নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড। ২০০১ সালে টুইন টাওয়ার হামলা পরবর্তী সংবাদ সংগ্রহের জন্য ইভন রিডলি সাংবাদিক হিসেবে পাকিস্তান আসেন এবং সেখান থেকে আফগানিস্তানে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে তিনি তোলপাড় করে ফেলে। দশ দিন পর তালেবানরা তাকে নিঃশর্তে মুক্তি দেয়। বন্দি থাকা অবস্থায় তিনি কাছ থেকে তালেবানদের জীবন-যাপন দেখার সুযোগ পান। এই সুযোগ তাকে পরবর্তীতে ইসলামের প্রতি আগ্রহী করে তোলে এবং তিনি ইসলাম সম্বন্ধে পড়াশোনা শুরু করেন। অবশেষে ২০০৩ সালে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। তার ইসলাম গ্রহণের সংবাদে পুরো পৃথিবী নতুন করে তাকে নিয়ে আবার মেতে উঠে।
তালেবানদের হাতে অপহৃত হন। তার দশ দিনের বন্দিজীবন পুরো বিশ্ব মিডিয়ায়
ইসলাম গ্রহণের পর থেকে তিনি সোচ্চার কণ্ঠে ইসলামের পক্ষে কথা বলে আসছেন। ২০১৪ সালে তিনি ব্রিটিশ মুসলিমস
অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।
জালোজায়ির রোদনভরা দৃশ্য
প্রথম যে জিনিসটা আমার খুব দরকার ছিল, তা হলো ইংরেজি জানা একজন ড্রাইভার। আমি লবিতে গিয়ে রিসেপশনিস্টকে জানাতেই সে দ্রুত আমার জন্য ইংরেজি জানা একজন ড্রাইভার ডেকে দিল এবং আমরা বেরিয়ে পড়লাম। খানিক বাদেই আবিষ্কার করলাম, তার ইংরেজির ভাণ্ডারে শুধু 'ওকে' শব্দটাই রয়েছে। হায় খোদা, আমাকে অন্ধ করে দাও! আমার মনে হতে লাগল, ভাগ্য আমাকে নিয়ে খেলছে।
পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আমি হোটেল লবিতে ফিরে এলাম এবং বিনয়ের সঙ্গে একজন প্রকৃত ইংরেজি জানা ড্রাইভার খুঁজে পেতে সাহায্য চাইলাম। পাকিস্তানিদের আমার খুব ভালো লাগে। তারা খুবই সাহায্যপ্রবণ। কেউ কোনো সাহায্য চাইলে তারা অপারগতা প্রকাশ না করে কিছু একটা করার চেষ্টা করে।
যা-ই হোক, ক্রাউন প্লাজার কর্মীরা এবার আন্তরিকভাবেই চেষ্টা করল। মিনিট পাঁচেক পরই পাশার সঙ্গে আমার পরিচয় হলো। ৩০ মিনিটের মধ্যেই ওকে আমার নতুন বন্ধুর তালিকায় যোগ করে ফেললাম ।
পাশা অনর্গল ইংরেজি বলে। ও সারা দুনিয়ায় ঘুরে ঘুরে কাজ করেছে
এবং খুব হাসিখুশি ও আন্তরিক। আমি যা চাইতাম ও তাই জোগাড় করার
চেষ্টা করত। সহজ, সরল, অসাধারণ পাশা।
পাশার বাদামি চোখ দুটো খুব মায়াবী। ওর গোলগাল মুখের চিবুকটাতে এক গোছা দাড়ি। ওর মাথার ঘন কালো চুলের ঘনত্ব কমে আসছিল এবং মনে হলো ও সদ্য চল্লিশের ঘরে পা দিয়েছে। হাসলে ওর মুক্তোর মতো সাদা দাঁতগুলো বেরিয়ে পড়ত। সামনের দিকে দাঁতের মাঝে একটু ফাঁকা ছিল। যদিও অত বেশি লম্বা নয়, তবে কয়েক দিন আগে নাকি বাস্কেটবল
খেলতে গিয়ে হাঁটুতে ব্যথা পেয়েছে। এখন ক'দিন তাই খেলা বন্ধ। পরের দিকে মাঝেমধ্যে ওর হাঁটা দেখে বুঝতে পারতাম যে ওর পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা করছে। কিন্তু পাশা কোনো দিনই এ নিয়ে অভিযোগ করেনি।
আমার লক্ষ্য ছিল কয়েকজন রেস্তোরাঁর মালিকের সঙ্গে সীমান্তের ওপারে ঘটে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে কথা বলা এবং পাকিস্তানের ওপর এর কী প্রভাব পড়বে, তা জানতে চাওয়া।
আমরা কাছেই ছোট একটা রেস্তোরাঁয় গেলাম এবং সেখানকার ম্যানেজারের সঙ্গে পরিচিত হলাম। চা খেতে খেতে গল্প জমে উঠল, এক ঘণ্টা ধরে গল্প চলতেই লাগল। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে আমি আমার ওই দিনের প্রতিবেদনের যাবতীয় তথ্য পেয়ে গেলাম। অফিসে জানানোর জন্য হোটেলে ফিরে এলাম।
সাংবাদিকতার মাপকাঠিতে এটা খুব বড়সড় কাজ ছিল না। তবে এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে খবরের পাতায় বড় আকারের শিরোনাম দেওয়ার মওকা সৃষ্টি হলো : ইভন রিডলি ইসলামাবাদে !
খবরের জগতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় খাপছাড়া এবং আমরা খুব আনন্দিত হলাম যখন জানতে পারলাম, মেইল অন সানডের প্রতিবেদক আবুধাবি বিমানবন্দরে ফ্লাইট বিলম্বের কারণে আটকা পড়েছে এবং তখনো কোনো প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি।
এরই মধ্যে ডেইলি এক্সপ্রেস-এর কোনো বিভীষণ মেইল অন সানডেকে
জানিয়ে দিয়েছে, আমি ইতিমধ্যেই ইসলামাবাদে পৌঁছে গেছি। তাই আমার
পিছু পিছু তারাও কাউকে পাঠিয়ে দিয়েছে। হাল ছাড়তে কেউই রাজি নয়।
আমাকে জানানো হয়েছিল, মেইল অন সানডে আমার অনেক দিনের পুরোনো বন্ধু ইভান গোলাঘ্যারকে পাকিস্তানে পাঠিয়েছে। যদিও আমি ওর সঙ্গ দারুণ পছন্দ করি, তবু পেশাদারির খাতিরে চাইছিলাম ও অন্য কোনো হোটেলে উঠুক। ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল বোধ করি, ইভান পেশোয়ারে অবতরণ করে এবং পার্ল কন্টিনেন্টালে ঘাঁটি গাড়ে।
রোববার আমরা একটা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় ভ্রমণে গেলাম। পাশার মতে এটা ছিল কোনো একটা মাদরাসা বা ইসলামি বিদ্যালয় ধরনের এবং মুসলিম বিশ্বে এর অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে আমাকে স্থানীয় পোশাক ও মাথায় একটা স্কার্ফ বাধতে অনুরোধ করল। তাই আমরা রাওয়ালপিন্ডির একটা বাজারে ঢু মারলাম। একটা পাশমিনা শাল খুব পছন্দ হলো।
ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান pdf download করতে নিচে ডাউনলোড বাটন ক্লিক করুন।