আসমা রাঃ সম্পর্কে ১৫০টি শিক্ষনীয় ঘটনা pdf download, আহমাদ আবদুল আলী তাহতাভী বই pdf download |
একটু পড়ুন:
রাসূল (সাঃ) কর্তৃক তাঁকে অগ্রাধিকার
আল্লাহ তায়ালা তাঁর নবীকে আবু বকর (রাঃ) এর সাথে পরামর্শ করতে বলেছেন। নবী (সাঃ) বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তাকে (পরামর্শের ক্ষেত্রে) অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
দাইলামী আলী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, রাসূল (সাঃ) বলেন, আমার নিকট জিবরাঈল আসলেন। তখন আমি বললাম, আমার সাথে কে হিজরত করবে? তিনি বললেন, আবু বকর। কেননা, তিনিই হচ্ছে আপনার পরে আপনার উম্মতের প্রতিনিধি ।
তামাম ইবনে ওমর (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন। রাসূল (সাঃ) বলেন, আমার নিকট জিবরাঈল আগমন করলেন। অতঃপর বললেন, হে মুহাম্মদ! নিশ্চয় আল্লাহর তায়ালা আপনাকে আবু বকরের সাথে পরামর্শ করতে বলেছেন। ইমাম তাবারানী সাঈদ ইবনে ইয়াহইয়া ইবনে কায়েস ইবনে ঈসা হতে তিনি তার পিতা হতে বর্ণনা করেন । একদা হাফসা (রাঃ) রাসূল (সাঃ)-কে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! যখন আপনি কোনো সমস্যায় পড়েন, তখন (পরামর্শের ক্ষেত্রে) আবু বকরকে বেশি অগ্রাধিকার দেন কেন? রাসূল (সাঃ) বললেন, আমি তাকে অগ্রাধিকার দেইনি; বরং আল্লাহই তাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। দাইলামী, খাতীব, ইবনে আসাকীর আলী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন। রাসূল (সা:) বলেন, হে আলী! আমি তোমাকে অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য আল্লাহর কাছে তিনবার প্রার্থনা করেছিলাম। কিন্তু তিনি আলীকে ফিরিয়ে দিলেন। তবে আবু বকরকে ছাড়া আর কাউকে অগ্রাধিকার দেননি।
এমামতের নির্দেশ প্রাপ্ত
বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, ইবনে মাযাহ ও মুসনাদে আহমদ ইত্যাদি হাদীস গ্রন্থে আয়েশা, আবু মূসা, ইবনে উমর, ইবনে আব্বাস, সালিম ইবনে উবাইদ (রাঃ) প্রমুখ সাহাবীদের সূত্রে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ) বলেন, তোমরা আবু বকরের কাছে যাও এবং তাঁকে লোকদের নামায পড়াতে বল ।
ইমাম হাকেম সাহল (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন। রাসূল (সাঃ) আবু বকর (রাঃ)- কে বলেন, যদি আমি (মৃত্যুর) শেষ প্রান্তে চলে যাই তবে তুমি লোকদের নামায পড়িয়ে দিও ।
তাবারানী সাহল ইবনে সাদ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমরা আনসারদের মধ্যে অবস্থান করছিলাম। তখন তাদের নিকট রাসূল (সাঃ) আগমন করলেন, যাতে করে তাদেরকে বিচার- মিমাংসা করে দেন।
তারপর যখন বিচার-মিমাংসা শেষ করে ফিরে যান। তখন লোকেরা নামাযে দাড়িয়ে গিয়েছিল এবং আবু বকর (রাঃ) লোকদের নামায পড়াচ্ছিলেন । তখন রাসূল (সাঃ) আবু বকর (রাঃ) এর পিছনে নামায আদায় করলেন।
ইমাম বাযযার ও ইমাম আহমদ একটি উত্তম সনদে ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি রাসূল (সাঃ) এর কাছে গেলাম। তখন তাঁর সাথে তাঁর স্ত্রীগণ ছিলেন। অতঃপর মাইমুনা ব্যতীত সকলেই আমার থেকে পর্দা করে নিল। তখন তিনি বললেন, যারা সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই তাদের মধ্যে কেউ আর বাকি নেই । অতঃপর তিনি বললেন, তোমরা আবু বকরের কাছে যাও এবং তাঁকে লোকেদের নামায পড়াতে বল । তখন আয়েশা (রাঃ) শব্দ করে বললেন, আবু বকর (রাঃ) অত্যন্ত নরম হৃদয়ের ব্যক্তি। সুতরাং যখন তিনি ঐ স্থানে দাঁড়াবেন, তখন কান্নায় ভেঙ্গে পড়বেন।
এরপরও রাসূল (সাঃ) বললেন, তোমরা আবু বকরের কাছে যাও, সে যেন লোকদের নামায পড়ায়। অতঃপর তিনি দাঁড়ালেন এবং নামায পড়াতে শুরু করলেন। অতঃপর নবী (সাঃ) নিজে থেকে এক ধরনের প্রশান্তি অনুভব করলেন। অতঃপর তিনি (নামায পড়তে) আসলে আৰু বকর পেছনে চলে যেতে চাইলেন। কিন্তু তিনি তার পেছনে (মুক্তাদী হিসেবে) থাকাটাই পছন্দ করলেন। অতঃপর তিনি তার পাশে বসে গেলেন । তারপর তিনি কিরাত পাঠ করেন ।
খতিব আবু বকর (রাঃ)
ইমাম আহমদ ইবনে আবি মুলাইকা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি রাসূল (সাঃ) -এর মৃত্যুর এক মাস পর আবু বকর (রাঃ) -এর কাছে বসা ছিলাম। তখন তিনি দাজ্জালের ঘটনা বর্ণনা করছিলেন। এমন সময় মানুষকে জামাআতে নামায আদায় করার জন্য আহ্বান করা হলো। অতঃপর লোকেরা একত্রিত হলে নামায পড়লেন এবং পরে তিনি একটি খুতবা প্রদান করলেন, যা ছিল ইসলামের প্রথম খুৎবা। প্রথমে তিনি আল্লাহর প্রশংসা ও গুণকীর্তন করলেন এবং বললেন, হে লোক সকল! আমি মনে করি তোমরা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছ, তা হতে যদি তোমরা পুরোপুরিভাবে নবী (সাঃ) -এর সুন্নাত গ্রহণ করতে চাও, তবে তা পালন করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে ঐ ব্যক্তিই এ দায়িত্ব পালন করতে পারবে, যে ব্যক্তি শয়তান থেকে নিরাপদ অথবা এ দায়িত্ব পালনের জন্য আকাশ হতে কোনো ওহি নাযিল হয়।
রাসূল (সাঃ) -এর খলিফা
ইমাম আহমদ আবি মুলাইকা (রহ.) হতে বর্ণনা করেন । তিনি বলেন, আবু বকর (রাঃ) কে বলা হলো, হে আল্লাহর খলিফা! তখন তিনি বললেন, আমি রাসূল (সাঃ) এর খলিফা এবং আমি তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট।
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূল (সাঃ) -এর মৃতুর পূর্ববর্তী সময় অসুস্থ অবস্থায় ছিলেন, তখন বিলাল (রাঃ) নামাযের জন্য আযান দেয়ার ব্যাপারে অনুমতি নিতে গেলেন। অতঃপর দুই বার অনুমতি চাওয়ার পর তৃতীয়বার অনুমতি চাইলে তিনি বলেন, হে বিলাল! তুমি পৌঁছিয়ে দাও । অতঃপর যে চায় সে যেন নামায পড়ে নেয়। আর যে মুখ ফিরিয়ে নিতে চায়, সে যেন মুখ ফিরিয়ে নেয়। তোমরা আবু বকরের কাছে যাও এবং তাকে লোকদের নামায পড়াতে বল ।
কোমল হৃদয়ের অধিকারী
ইমাম আহমদ বুরাইদা (সাঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূল (সা:) অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর যখন আবু বকর (রাঃ) কে ইমামতি করতে বলা হলো, তখন আয়েশা (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহ রাসূল! আবু বকর তো নরম ও কোমল হৃদয়ের অধিকারী। নামায পড়াতে গেলে তিনি তো কাঁদতে শুরু করবেন । তবুও রাসূল (সাঃ) বললেন, তোমরা আবু বকরের কাছে যাও এবং তাকে লোকদের নামায পড়াতে বল। কেননা তোমরা তো ইউসুফের সাথি। অতঃপর আবু বকর (রাঃ) ইমামতি করলেন, তখনও নবী (সাঃ) ইমামতি করলেন ।
আসমা রাঃ সম্পর্কে ১৫০টি শিক্ষনীয় ঘটনা pdf download করতে নিচে ডাউনলোড বাটন ক্লিক করুন।