আদর্শ মুসলিম নারী pdf ডাউনলোড

আদর্শ মুসলিম নারী pdf download, ড. মুহাম্মাদ আলী আল হাশেমী বই pdf download, Adorsho Muslim Nari pdf download
আদর্শ মুসলিম নারী pdf download, ড. মুহাম্মাদ আলী আল হাশেমী বই pdf download, Adorsho Muslim Nari pdf download


আজনবী পুরুষের সাথে নির্জনে একাকী অবস্থান করবে না আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের যেকোনো আদেশ অবনত মস্তকে মেনে নেওয়া আর নিষেধ থেকে বিরত থাকা তাঁদের আনুগত্যের উৎকৃষ্ট প্রমাণ। এ দুটো ব্যতীত আনুগত্যের মর্মার্থ বাস্তবায়ন সম্ভব হতে পারে না। তেমনি একটি হলো, মুসলিম নারী কখনো অপরিচিত বেগানা পুরুষের সাথে একাকী কোথাও অবস্থান করবে না। ওলামায়ে কেরামের সর্বসম্মত মতানুযায়ী গায়রে মাহরাম পুরুষের সাথে নির্জনে একাকী অবস্থান করা মহিলাদের জন্য হারাম। রাসূল (সঃ) সুষ্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছেন,


কোনো পুরুষ যেন এমন কোনো নারীর সাথে একাকী না হয়, যে নারীর সাথে মাহরাম নেই। এমনিভাবে কোনো মহিলা যেন মাহরামহীন অবস্থায় একাকী সফরে বের না হয়। তখন এক লোক দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ‘আমার স্ত্রী হজ্জের উদ্দেশ্যে বের হয়েছে। আর আমাকে যুদ্ধের জন্য সৈন্য বাহিনীতে রেখে দেওয়া হয়েছে। (অর্থাৎ, এ কারণে আমি স্ত্রীর সাথে যেতে পারিনি। সে একাই হজ্জে গেছে।) রাসূল (স) বলেছেন, 'যাও! তুমি তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্জ করে এস।

মাহরাম বলা হয় এমন সব পুরুষদের, যাদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া

যেকোনো মহিলার জন্য স্থায়ীভাবে হারাম। যেমন পিতা, ভাই, চাচা, মামা...।

আজনবী' বলা হয়, যে পুরুষের সাথে বিয়ে বৈধ। এখন সে পুরুষ যদি আত্মীয়দের কেউও হয়, তারপরও তার জন্য হাদীসে বর্ণিত 'আজনবী' শব্দই প্রযোজ্য হবে। যেমন দেবর বা স্বামীর পক্ষের অন্য সব আত্মীয়রা। তাদের যে কারো সাথেই একাকী অবস্থান 'হারাম'। রাসূল (স) বলেছেন,

তোমরা মহিলাদের মাঝে প্রবেশ করা থেকে সতর্ক থাক। এক আনসার সাহাবী প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! 'দেবর' সম্পর্কে আপনার কী মত? রাসূল (সঃ) বললেন, দেবর তো সাক্ষাৎ মৃত্যু। অর্থাৎ, দেবরের কাছ থেকে মৃত্যু-বৎ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।


হাদীসে (حمو) শব্দ ব্যবহার হয়েছে। এর দ্বারা স্বামীর ভাই এবং তদসংশ্লিষ্ট অন্য আত্মীয়দের বোঝায়। অর্থাৎ দেবরগোষ্ঠী। রাসূল (স) এদেরকে মৃত্যুর সাথে 

৮০. বুখারী ও মুসলিম; দেখুন, শারহুস সুন্নাহ ৭/১৮, কিতাবুল হজ্জ 
৮১. মুত্তাফাকুন আলাইহি; দেখুন, শারহুস সুন্নাহ ৯২৬, বিবাহ অধ্যায় 
*মাহরাম' নয় এমন যে কোনো পুরুষই গায়রে মাহরাম'। অর্থাৎ, যাদের সাথে জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে বিবাহ বৈধ হতে পারে। সুতরাং আত্মীয়দের মধ্যে একটা বড় অংশই গায়রে মাহরাম।

তুলনা দিয়েছেন। কেননা, অন্য যে কারো চেয়ে অনিষ্টতার আশঙ্কা এদের কাছ থেকে প্রবল। এরা চাইলেই যখন-তখন ভাইয়ের গৃহে আসা-যাওয়া করতে পারে। এমন অবাধ আসা-যাওয়ার সুযোগ কোনো অনাসৃষ্টি যাতে ঘটতে না পারে সেজন্যই রাসূল ধমকি হিসেবে, ভয় দেখানোর জন্য মৃত্যুর তুলনা টেনে এনেছেন। তাছাড়া দেবরদের সাথে নির্জনে একাকী সময় কাটানো দীনদারীর ক্ষেত্রে মৃত্যুসম ঝামেলাও তৈরি করতে পারে।

বর্তমান মুসলিম সমাজে মানুষ এ বিষয়ে চূড়ান্ত অবহেলা প্রদর্শন করে যাচ্ছে। দেবরদের সাথে যখন-তখন ঘুরতে বের হওয়া, তাদের সাথে মুক্ত মনে মেলামেশা করাটাই এখন কালচার। সত্যিকারের মুসলিম নারী কখনোই এমন সুষ্পষ্ট সীমালঙ্ঘন করবে না ।


শরী'আত নির্ধারিত 'হিজাব'কে নিজের জন্য অত্যাবশ্যক করে নেবে মুসলিম নারী স্বীয় ঘর থেকে বাইরে বের হওয়ার সময় 'হিজাব' পরিধান করবে। কেননা, 'হিজাব' পোশাক-আশাক সংশ্লিষ্ট এমন একটি ইসলামী স্বকীয়তা, কুরআন ও হাদীসের অকাট্য দলিলসমূহ যা নির্ধারণ করে দিয়েছে। সুতরাং মুসলিম নারী স্বীয় সৌন্দর্য প্রকাশ করে সুগন্ধি মেখে ঘর থেকে বেরুবে না। পরপুরুষের সামনে যাবে না। তার জানা থাকবে, কুরআন একে হারাম করে ঘোষণা দিয়েছে:

ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না 

বক্ষদেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র স্বামীর পুত্র, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ ও বালক, যারা নারীদের গোপাঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারে কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জ প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।' (সূরা নূর ৩১)


সচেতন মুসলিম নারী কখনোই সেসব খোলামেলা, বে-আব্রু নারীদের দলে নাম লেখাবে না, যাদের সংখ্যাধিক্য আর নির্লজ্জ কোলাহলে মুখরিত হয়ে আছে আল্লাহর আনুগত্য ও ইসলামি দিক-নির্দেশনা বিচ্যুত সমাজগুলো। এ সমস্ত নামমাত্র পোশাক পরা অর্ধ্ব উলঙ্গ নারীতে ছেয়ে আছে আধুনিক সোসাইটিসমূহ এসব পথভ্রষ্টা, ফেত্না সৃষ্টি কারিণী, লজ্জাহীনাদের ভয়ানক পরিণামের যে চিত্র রাসূল (স) অংকন করেছেন, মুসলিম নারীর সঠিক শিক্ষার জন্য সেটাই যথেষ্ট রাসূল (স) বলেন,

*জাহান্নামে, বাসিন্দাদের দুটো দলকে আমার দেখা হলো না। একদল হলো এমন সম্প্রদায়, যারা গরুর লেজের মতো চাবুক নিয়ে ঘুরবে আর সেটা দ্বারা মানুষকে প্রহার করবে। আরেকদল হলো এমন নারীরা, পোশাক পরেও যারা উলঙ্গ (অর্থাৎ, পরিধেয় পোশাক তার দেহাংশগুলোকে ঢাকতে পারেনি)। যারা পুরুষদেরটা নিজের প্রতি আকৃষ্ট করার ধান্ধায় থাকে আর নিজেও কেবল যার তার প্রতি ঢলে পড়ার সুযোগ খোঁজে। যাদের খোঁপাগুলো কৃত্রিম সাজ-সজ্জার প্রাবল্যে উটের হেলে পড়া কুঁজের মতে দেখা যায়...। এরা কখনো বেহেশতে প্রবেশ করবে না। বেহেশতের গন্ধও পাবে না। অথচ বেহেশতের সুগন্ধ অনেক অনেক দূরে থেকেও নাকে আসবে মতো..


যে আলোকপ্রাপ্তা মুসলিম নারী ইসলামের সুমহান শিক্ষায় উদ্ভাসিত হতে পেরেছে, 'হিজাবকে সে একটা বংশানুক্রমে প্রাপ্ত প্রথা বা অভ্যাস হিসেবে ধারণ করবে না। মাতা-মাতামহরা যুগ যুগ ধরে পরে আসছেন, তাই আমাকেও পরতে হবে, তাই আমি পরছি... এমনটা ভাববে না। কিছু নির্বোধরা ইসলামী  হিজাকে আক্রমণ করতে গিয়ে অযৌক্তিকভাবে, মুর্খের মতো এমন ধারণা প্রচার করে বেড়ায় যে, 'মুসলিমরা কেবল সামাজিক প্রথা বা রীতি-নীতি ধরে রাখার জন্য পর্দা প্রথা মানতে বলে'। মূর্খতার একটা ন্যূনতম সীমা থাকা উচিত।

বই: আদর্শ মুসলিম নারী 
লেখক : ড. মুহাম্মাদ আলী আল হাশেমী
প্রকাশনী : সবুজপত্র পাবলিকেশন্স
বিষয় : ইসলামে নারী

আদর্শ মুসলিম নারী pdf download করতে নিচে ডাউনলোড বাটন ক্লিক করুন।

Post a Comment

স্প্যাম কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন! ধন্যবাদ, পিডিএফ বই ডাউনলোড সমস্যা হচ্ছে? এখানে দেখুন>যেভাবে PDF ডাউনলোড করবেন?

Previous Next

نموذج الاتصال