হাউ টু টক টু এ্যানিওয়ান pdf download, লেইল লোনডেস বই বাংলা, এ. এস. এম. রাহাত |
তুমি কথা বলার পূর্বে তোমার শরীর কথা বলে
তোমাকে মানুষ যেভাবে দেখে, যেভাবে তোমার ব্যক্তিত্ব তাদের চোখে ধরা পড়ে,
ওটা কি পুরোপুরি নির্ভুল?
নির্ভুল বলা যায়। তোমার শারীরিক ও মৌখিক অঙ্গভঙ্গিমা তাদের অলরেডি জানিয়ে নিয়েছে- এই ব্যক্তি কেমন, এই ব্যক্তি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তোমার ব্যক্তিত্ব ঠিক কতটা প্রকট, এটা নির্ভর করছে তোমার বডি ল্যাঙ্গুয়েজের (শারীরিক অঙ্গভঙ্গির) উপরে। যেকোনো মানুষের ব্যক্তিত্বের প্রায় ৮০% অংশ তৈরি করে তার শারীরিক অঙ্গভঙ্গি। তুমি কীভাবে কথা বলছো, কীভাবে চলাফেরা করছো, কতটা গুরুত্বপূর্ণ তোমার হাতের ইশারা- সবই কিন্তু এই ৮০%-এর ভেতরে পড়ে যাচ্ছে। আর বাকি মাত্র ২০% নির্ভর করছে তোমার কথা কতটা যৌক্তিক, এর উপর।
কর্মক্ষেত্রের বদৌলতে আমাকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকতে হয়েছে, বিভিন্ন মানুষের সাথে মিশতে হয়েছে। স্থানীয় ভাষা না জেনেও শারীরিক অঙ্গভঙ্গি কাজে লাগিয়ে এমন অনেক সমস্যা আমি একাই কাটিয়ে উঠেছি।
প্রথম সাক্ষাতের সময়টা আমি খুবই সতর্ক থেকেছি, যে কারো ক্ষেত্রেই। যখনই আমি নতুন কোনো সহকর্মীর সংস্পর্শে এসেছি, তার প্রশংসা করতে কখনো কার্পণ্য করিনি। ওই কোম্পানিতে তার অবস্থান কেন এত গুরুত্বপূর্ণ, সে কীভাবে এত সাবলীলভাবে কাজগুলো করে এবং কোম্পানির জন্য তাদের আত্মত্যাগের কথা আমি নিজ থেকে তুলে ধরতাম। চলাফেরা পর্যবেক্ষণ করেই বুঝে নিতাম, কে
কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, আর কে কম গুরুত্বপূর্ণ। অন্যের পেটের কথা বা ধারণা বের করার ক্ষমতা আমাদের নেই। চাইলেই আমরা তার সম্বন্ধে এমন কিছু বলতে পারি না, যা আমাদের মাথায় এসেছে। এ কথা সবার জন্যই প্রযোজ্য। আমরা যে কারো সম্পর্কে ধারণা পোষণ করি সম্পূর্ণ নিজের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে। বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা বলছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের আবেগ, আমাদের ধারণা নিতে প্রভাবিত করে।
কর্মক্ষেত্রের বদৌলতে আমাকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকতে হয়েছে, বিভিন্ন
মানুষের সাথে মিশতে হয়েছে। স্থানীয় ভাষা না জেনেও শারীরিক অঙ্গভঙ্গি কাজে লাগিয়ে এমন অনেক সমস্যা আমি একাই কাটিয়ে উঠেছি। প্রথম সাক্ষাতের সময়টা আমি খুবই সতর্ক থেকেছি, যে কারো ক্ষেত্রেই। যখনই আমি নতুন কোনো সহকর্মীর সংস্পর্শে এসেছি, তার প্রশংসা করতে কখনো কার্পণ্য করিনি। ওই কোম্পানিতে তার অবস্থান কেন এত গুরুত্বপূর্ণ, সে কীভাবে এত সাবলীলভাবে কাজগুলো করে এবং কোম্পানির জন্য তাদের আত্মত্যাগের কথা আমি নিজ থেকে তুলে ধরতাম। চলাফেরা পর্যবেক্ষণ করেই বুঝে নিতাম, কে
কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, আর কে কম গুরুত্বপূর্ণ। অন্যের পেটের কথা বা ধারণা বের করার ক্ষমতা আমাদের নেই। চাইলেই আমরা তার সম্বন্ধে এমন কিছু বলতে পারি না, যা আমাদের মাথায় এসেছে। এ কথা সবার জন্যই প্রযোজ্য। আমরা যে কারো সম্পর্কে ধারণা পোষণ করি সম্পূর্ণ নিজের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে। বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা বলছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের আবেগ, আমাদের ধারণা নিতে প্রভাবিত করে।
তোমার সাথে যখন কেউ কথা বলতে আগ্রহী হন, তিনি তোমাকে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করেন, তারপর এগিয়ে এসে কথা বলেন। কথা বলার পূর্ব মুহূর্তে তার ভেতরে তোমার একটা অবস্থান তৈরি হয়ে যায়। আর কথা শুরু হওয়ার পরবর্তী কিছু সময় বলে দেবে, তার মস্তিষ্ক সঠিক না ভুল। আর একবার যখন অবস্থানটা গেঁথে যায়, বুঝে নেবে, এর উপরেই তিনি তোমায় বিচার বিবেচনা করবেন; তোমার গুরুত্ব কতটুকু, তাও ঠিক হয়ে গেছে তার মস্তিষ্কে। বব আরেকটা কথা জানায়, সে নিজের ব্যঙ্গচিত্রও একবার এঁকেছিল। নিজেকে নিজে আঁকার ক্ষেত্রে বব সেই একই কাজটাই করেছে, যা অন্যদের বেলায় সে করে। সে নিজের একটা কাল্পনিক চরিত্র মস্তিষ্কে সেট করে নিল, সে কেমন, তার ব্যক্তিত্ব কেমন, সবটা মিলিয়ে যেটা দাঁড়াল, সেটাই হচ্ছে, ববের ব্যঙ্গচিত্র!
অন্য বিষয়ে আলোচনা বেশি হয়ে যাচ্ছে, বুঝতে পেরে আবার আসল আলোচনায় ফিরলাম। বই রচনার মূল উদ্দেশ্যে মনযোগ বাড়ালাম । প্রসঙ্গে এসে ববকে জিজ্ঞেস করলাম, 'কারো ছবিতে তাকে একেবারে নম্র, ভদ্র, জ্ঞানী, যত্নবান, উৎফুল্ল এবং নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল দেখাতে চাইলে তুমি কী করবে? তুমি কি সেটা ফুটিয়ে তুলতে পারবে ব 'ধৈর্য্য ধরো বান্ধবী।' বলে সে হাসল। সে বুঝতে পেরেছে আমি কী বোঝাতে
চেয়েছি। 'প্রথমত... হুমমম...' একটু থামল সে, তারপর বলল, 'তার শারীরিক অবস্থান থাকবে ফিটফাট, মাথাটা হবে একটু ঊর্ধ্বমুখী, মুখে লেগে থাকবে একটা বিশ্বস্ত হাসি এবং সে সরাসরি চোখে চোখ রেখে কথা বলবে। ব্যাস, এগুলো দেখালেই পরিপূর্ণ সব হয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।
কীভাবে নিজেকে 'গুরুত্বপূর্ণ কেউ একজন' হিসেবে উপস্থাপন করা যায়।
আমার বন্ধু ক্যারেনের ডেকোরেশনের ব্যবসা রয়েছে। তার স্বামী সমাজের একজন
নামকরা ব্যক্তি, যিনি যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করেন। তাদের ফুটফুটে দুটো
ছেলে সন্তান রয়েছে। ক্যারেনও তার ব্যবসায়িক দুনিয়ায় খুবই পরিচিত নাম। যখনই সে কোনো অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক হয়ে যায়, তার সহকর্মীরা তার আশপাশে থাকতে পছন্দ করে, তার
সাথে একটা ছবি তুলতে পারলে নিজেকে গর্বিত বোধ করে। ওর কাঁধে হাত রেখে
একটা ছবি তোলাটাই বুঝি অনেক সম্মানের ব্যাপার। অথচ এর বিপরীতটা ঘটে, যখন ক্যারেন তার স্বামীর কোনো আয়োজনে সাথে থাকে। সেখানে সে নিজেকে খুবই অপরিচিত হিসেবে আবিষ্কার করে। সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে মনে হয়, সে যেন কেউই না! আবার যখন সন্তানদের স্কুলে উপস্থিত হতে হয়, সেখানে ক্যারেন অন্য অনেক মায়ের মতো একজন মা হিসেবে নিজেকে
অনুভব করে। একদিন ক্যারেন কথা প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করল, 'লেইল, তোমার কি এমন কোনো কৌশল জানা আছে, যা প্রয়োগ করলে যেকোনো ভিড়ে, যেকোনো অপরিচিত মানুষ আমার সাথে নিজ থেকে কথা বলতে চাইবে, আমাকে দেখে সে
আহাহী হবে। আছে কি?
ক্যারেনের প্রশ্নের জবাবটা আমি তোমাদের জন্য এখানে তুলে ধরছি। উত্তরটা হচ্ছে, 'হ্যাঁ। যাবে। তবে এজন্য অবশ্যই তোমাকে কিছু কৌশল রপ্ত করতে হবে। যেগুলো তোমাকে যেকোনো ভিড়ের মাঝেই অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলবে। হোক না সেটা এমন লোকদের ভিড়, যাদের কেউই তোমায় চেনে না ! নিজেকে উপস্থাপন করো সুন্দর একটা হাসি দিয়ে। যে হাসিতে ভরে আছে বিশ্বস্ততা।
দ্রুত হাসবে, নাকি মনোরম একটা হাসি দেবে?
ডেল কার্নেগির লেখা হাউ টু উইন ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ইনফ্লুয়েন্স পিপল (১৯৩৬) বইয়ের ছয়টি বিশেষ কৌশল দশকের পর দশক উচ্চারিত হয়ে গেছে। আত্ম উন্নয়নমূলক অনুষ্ঠানের পরিচিত রথি-মহারথি বক্তারা মাইকের সামনে দাঁড়ালেই এই কৌশলগুলো ঝেড়ে গেছেন শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে। অথবা নিজেরাই তার উন্মেষ ঘটিয়েছেন একটি বিশ্বস্ত হাসির মাধ্যমে।
সে যাই হোক, বছরের পর বছর ধরে এই অনুশীলন কার্যকরী রইল মানুষের আত্মিক সম্পর্ক উন্নয়নে। যারা আরো গভীরভাবে এ নিয়ে গবেষণা করল তারা একটা সময় বুঝতে পারল, শুধুমাত্র হেসে যাওয়া যথেষ্ট নয় বরং আজকের দিনে, এই যান্ত্রিক বিশ্বে অনেক সময় এই কৌশলটি পুরোপুরি অকেজো।
এই মুচকি হাসিকে আজকের আধুনিক বিশ্বের অনেকেই সেকেলে বা আনাড়ি হিসেবেই দেখেন। বর্তমান বিশ্বের যত রথি-মহারথি আছেন, তাদের দিকে তাকালে দেখতে পাবে, তারা তাদের হাসিকে আরেকটু উন্নত করেছেন। তারা শুধু মুখ টিপে হাসেন না, বরং অনেক ক্ষেত্রে হো হো করে মন থেকে হাসিতে ফেটে পড়েন। তাদের হাসির এই বিস্ফোরণ তাদের মাঝে আরো অনেক বেশি পরিমাণে
আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করে। সবচেয়ে মজার ব্যাপারটা হচ্ছে, হাসি ছোঁয়াচে। তাদের সাথে সাথে অন্যদের মুখেও ওটা ছড়িয়ে পড়ে, মুহূর্তগুলো হয়ে ওঠে আরো মধুর।
গবেষকরা গবেষণা করে দেখেছেন, বিভিন্ন রকমের হাসি সমাজে প্রচলিত রয়েছে। মিথ্যাবাদীর মুখের হাসি থেকে শুরু করে ছোটো বাচ্চাদের উদ্দেশ্যে অর্থহীন হাসি, সবটাই লিপিবদ্ধ হয়েছে। বের হয়েছে, কোনটা আসল আর কোনটা নকল হাসি (তুমি নিজেই এমনটা অনুভব করেছো, বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন সময়ে। তোমার বন্ধু না চাইতেও তোমাকে গাড়িতে করে নামিয়ে দেওয়ার সময় আন্তরিক হাসির নামে ব্যর্থ হাসিটি নিশ্চয়ই তোমার চোখে পড়েছে। অথবা সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার তোমার অঞ্চলে বিশেষ প্রয়োজনে আসার পরে সবাইকে খুশি করতে যেসব কথা বলেন, এই যেমন, আমি এখানে এসে অত্যন্ত খুশি হয়েছি। আপনাদের ব্যবহারে ... ব্লা ব্লা নিশ্চয়ই শুনেছো। ) তবে সত্যিকার বিজয়ীরা জানেন, হাসি তাদেও একটা বড় অস্ত্র। এজন্য তারা কখনোই নকল হাসিতে মানুষের মন জয় করতে চায় না। বরং তাদেও মুখে ফুটে ওঠে আন্তরিক এবং বিশ্বস্ত হাসি। এবং এই কার্যকরী।
বই: হাউ টু টক টু এ্যানিওয়ানলেখক: লেইল লোনডেসভাষান্তর: এ. এস. এম. রাহাতপ্রকাশনী: দাঁড়িকমাবিষয়: আত্ম উন্নয়ন ও মোটিভেশন, যোগাযোগ {alertSuccess}
হাউ টু টক টু এ্যানিওয়ান pdf download লেইল লোনডেস বইটি ডাউনলোড করতে নিচে ডাউনলোড বাটন ক্লিক করুন।
হাউ টু টক টু এনিওয়ান এই বইটা কবে আসবে
ReplyDeleteHow to talk to anyone bangla version tar pdf kobe pabo?
ReplyDeleteশীঘ্রই আসবে স্যার, আমাদের সাথে থাকুন, সবার আগে নতুন নতুন বই এর আপডেট পেতে আমাদের টেলিগ্রাম জয়েন করে রাখতে পারেন, ধন্যবাদ
ReplyDelete