অখণ্ড পাকিস্তানের শেষ দিনগুলি pdf download, জি ডব্লিউ চৌধুরী, okhondho pakistaner sesh dinguli pdf |
"অখণ্ড পাকিস্তানের শেষ দিনগুলি বই" টি জি ডব্লিউ চৌধুরী এর একটি বই, যেখানে তিনি পাকিস্তানের উত্থান এবং উপকারভোগী মানুষের পৃথিবী তথ্য বিবরণ করেন। এই বইটি পাকিস্তানের উৎপত্তি থেকে শুরু করে এর উন্নয়ন এবং তার স্থান আজকের পৃথিবীর মধ্যে নিয়ে আসে। বইটি পাকিস্তানের রাজনৈতিক এবং সামাজিক ইতিহাস নিয়ে মহান ঘটনাগুলি বিবেচনার মাধ্যমে একটি জীবন্ত চিত্র তৈরি করে।
আরও: দেশ ভাংগার যে কোন রকমের হুমকিকে ফলপ্রসুভাবে মোকাবিলা করতে হবে- এ ব্যাপারে কোন ভিন্নমত ছিলনা। "এক পাকিস্তান কাঠামোর আওতার মধ্যে ইয়াহিয়া খান শেখ মুজিব সহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা স্বাধীনভাবেই চালাতে পারতেন, কিন্তু শেখ মুজিবের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সংগে কথিত সংশ্লিষ্টতার কথা জেনারেলরা কখনই ভুলে যায়নি। সূতরাং শেখ মুজিবের সন্দেহ ও আপত্তির কিছুটা ভিত্তি ছিল বৈকি।
পূর্ব-পাকিস্তানের প্রাদেশিক গভর্ণর এডমিরাল আহ্সান শেখ মুজিবের সন্দেহ দূর করতে কিছুটা সফল হয়েছিলেন। অথবা অন্যভাবে বলা যায় এডমিরাল আহসান নিজে শেখ মুজিব এবং তার কতিপয় উপদেষ্টা যেমন ডঃ কামাল হোসেনের এবং রহমান সোবহান দ্বারা বোকা বনেছিলেন। ডঃ কামাল হোসেন ছিলেন শেখ মুজিবের শাসনতান্ত্রিক উপদেষ্টা এবং পরে ১৯৭২ সালে শাসনতন্ত্র রচনার জন্য বাংলাদেশের প্রথম আইন মন্ত্রী হন আর রহমান সোবহান হলেন একজন ভূয়া অর্থনীতিবিদ যিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় হতে পি, এইচ, ডি, ডিগ্রী লাভে ব্যর্থ হলেও শেখ মুজিবের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে তার ঘনিষ্ঠ হন। এ দু' জন প্রায় প্রতিদিনই এক 'কমন' বন্ধুর বাসায় আহসানের সাথে মিলিত হতেন। এ বন্ধুর কাজের স্বীকৃতি দেয়া হয় ১৯৭০ সালে একজন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব দেয়ার মাধ্যমে। এডমিরাল আহসান আন্তরিকছিলেন, কিন্তু পূর্ব-পাকিস্তানের রাজনৈতিক গতিশীলতা এবং সেখানে সক্রিয় বৈদেশিক শক্তিগুলোকে বোঝার ক্ষমতা তাঁর ছিলনা।
তিনি শেখ মুজিবের সাথে একটি বোঝাপড়ার জন্য একান্ত উদগ্রীব ছিলেন; আর আঞ্চলিক সামরিক আইন প্রশাসক জেঃ ইয়াকুব এবং সামরিক ও বেসামরিক গোয়েন্দা বিভাগসমূহ শেখ মুজিবের চূড়ান্ত লক্ষ্যের ব্যাপারে শংকিত ছিল যে, সে লক্ষ্য কি পাকিস্তানের প্রথম বাংগালী প্রধানমন্ত্রী হওয়া নাকি নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের স্রষ্টা হওয়া তা নিয়ে। ইয়াহিয়া খান- আহসান, ইয়াকুব এবং তাঁর গোয়েন্দা প্রধানদের পরস্পর বিরোধী মতামতে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন। সূতরাং ইয়াহিয়া- মুজিব আলোচনা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিল- শেখ মুজিব কি তাঁর ছয় দফাকে পরিবর্তন করবেন এবং সামরিক জান্তা শেখ মুজিবের হাতে বাস্তবিক পক্ষেই ক্ষমতা হস্তান্তর করবে কিনা।
মাওলানা ভাসানীর সাথে আলোচনা ছিল মজার, কিন্তু তত বেশী গুরুত্বের ছিলনা। অশীতিপর বৃদ্ধ মাওলানা ছিলেন এক কিংবদন্তীর নায়ক। তিনি কখনও কোন ক্ষমতা গ্রহণ করেননি এবং পরিপূর্ণভাবে গরীব ও সর্বহারাদের” জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। "মাওলানা”কে কোন কোন সময় "লাল” বা পিকিংপন্থী কম্যুনিষ্ট আখ্যা দেয়া হত, কিন্তু তিনি একজন উৎসর্গীকৃত মুসলমানও ছিলেন। তিনি ছিলেন গান্ধী ধরনের নেতা এবং অতি- দরিদ্রের খেদমত করার জন্য তাঁর ছিল মিশনারী উদ্যম। তিনি ইয়াহিয়া খানের সহিত তাঁর প্রথম বৈঠকে চাষী, মঞ্জুর এবং ছাত্রদের দাবী দাওয়ার একটি ফিরিস্তি দেন- এবং ইয়াহিয়া খানকে বলেন যে, পাকিস্তানের অতীত সরকারগুলো "নিঃস্বদের” মংগলের জন্য কিছুই করেনি। ভাসানী সাধারণতঃ অধিকাংশ সময়ে নিজে কথা বলতেন এবং অন্য কাউকে কথা বলতে দিতেন না।
সূতরাং কয়েক ঘন্টা এক তরফা আলোচনার পর ইয়াহিয়া খান মাওলানা ভাসানীকে বলেন- "মাওলানা সাহেব, আপনি আমার প্রশাসনে যোগ দিয়ে যে সব সমস্যার কথা বললেন সে সবের সমাধানের চেষ্টা করেন না কেন?” ভাসানীর উত্তর ছিল "আমার কাজ হল সরকারের ভুল ভ্রান্তিগুলো ধরা, কোন সরকারে যোগ দেয়া নয়।” প্রথম মিটিং শেষ হয় আন্তরিকতা ও গুরুত্বপূর্ণভাবে, কিন্তু শাসনতান্ত্রিক প্রশ্নে কোন গঠনমূলক পরামর্শ ব্যতিরেকেই। আমি যখন এ "লাল মাওলানার” সাথে দেখা করতে যাই তখন শাসনতান্ত্রিক সমস্যার প্রশ্নে কোন প্রস্তাবের ব্যাপারে তাঁর কোন প্রতিক্রিয়া জানার তেমন কোন সুযোগ ছাড়াই আমাকে দীর্ঘ পাঁচঘন্টা ব্যাপী তার "বক্তৃতা” শুনতে হয়েছিল। আমি অবশ্য গরীবদের জন্য তাঁর ত্যাগ এবং ব্যক্তিগত রাজনৈতিক উচ্চাকাংখাহীনতা দ্বারা মুগ্ধ হয়েছিলাম। তিনি নিশ্চয়ই একজন মহাপুরুষ ছিলেন।
নুরুল আমিন, গোলাম আজম এবং অন্যান্য মধ্যপন্থী বাংগালী অ-আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ পূর্ব ও পশ্চিম-পাকিস্তানের মধ্যে সত্যিকারের একটি রাজনৈতিক সুরাহার ব্যাপারে সবচেয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন, কিন্তু শেখ মুজিবের ছয় দফার ব্যাপারে- যাকে তাঁরা বিচ্ছিন্নতার পরিকল্পনা
অখণ্ড পাকিস্তানের শেষ দিনগুলি pdf টি ডাউনলোড করতে নিচে ডাউনলোড বাটন ক্লিক করুন।
মানুষকে কেন ধোঁকা দেন?
ReplyDeleteধোঁকা কেন দিবো ভাই
ReplyDelete