মুসলিম ম্যানারস pdf আব্দুর রহমান আল আনসারী muslim manners pdf JustBoipdf |
বই:মুসলিম ম্যানারস pdf downloadলেখক : আবদুর রহমান আল আনসারী pdfপ্রকাশনী : মুভমেন্ট পাবলিকেশন্সবিষয় : আদব, আখলাক pdfফরম্যাট: pdf / ফ্রী পিডিএফপৃষ্ঠা: 240 {alertSuccess}
বৃদ্ধাশ্রমের কারণ কি কি? Pdf
আগে শহরে বন্দরে গ্রামে-গঞ্জে সব পরিবারেই বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের সম্মান শ্রদ্ধা ছিল বেশ ভালো। কিন্তু কালক্রমে দিন দিন পারিবারিক ব্যবস্থার ভাঙ্গন, পারিবারিক বন্ধন শৈথিল্য ও প্রতিযোগিতামূলক সমাজ ব্যবস্থা আমাদের সমাজকে জটিল করে তুলেছে। ফলে পারিবারিক গণ্ডির বাহিরে চলে এসেছে প্রবীনদের আবাস। আমরা আগে যতটুকু জেনেছি এবং বাবা-মা, দাদা- দাদীর নিকট হতে শুনেছি আগে প্রবীনদের খুব সম্মান করা হত। বাড়িতে কোন অনুষ্ঠান হলে সম্মানের আসনে তারাই বসতেন। গাছের ফল, নতুন ধানের ভাত ইত্যাদি প্রথমে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের না খাওয়া পর্যন্ত বাড়ির কেউ খেত না। সেই সম্মান-শুদ্ধা কোথাই হারিয়ে গেল তা কেউ বলতে পারে না। দিতে পারে না কেউ- কোন সমাধান। সেই সব সম্মান-শ্রদ্ধা হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা যেতে পারে।
আরও ফ্রী পিডিএফ
(১) মূলবোধ না থাকা বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের বৃদ্ধাশ্রমে যাওয়ার প্রথম কারণ হলো মূল্যবোধ না থাকা, সন্তান যদি জানত ইসলাম পিতা-মাতাকে কি সম্মান দিয়েছে, তাদের হক্ব-অধিকার কিরূপ? তাদের সাথে কিরূপ সম্মান, শ্রদ্ধা করতে হবে? বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে
সম্মান করা কত বড় নেকীর কাজ? তাহলে কোন দুর্ভাগা ছেলে পিতা- মাতাকে বৃদ্ধাশ্রমে রাখা দূরের কথা অসৎ আচরণও করত না।
(২) যৌথ পরিবার ভেঙ্গে একক পরিবারে পরিণত হওয়া।
(৩) নারী-পুরুষ উভয় উপার্জনের জন্য হন্যে হয়ে উঠে পড়া।
নিম্নে আলোচনা করা হলো-
(ক) ২৫-৩০ বছর আগেই যৌথ পরিবার ছিল বাঙ্গালী সংস্কৃতির অন্যতম
অংশ। প্রায় ৫০ বছর পূর্বে কোন পরিবার পরিকল্পনা ছিল না। এক সন্তান
কিংবা দু'সন্তানের নীতির নাম নিশানা ছিল না। যৌথ পরিবার ছিল সকলের
শান্তির নিবাস। শেষ ভরসা। তাই বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, পিতা-মাতা শেষ বয়সে বিরাট
ফুল বাগান চোখের সামনে দেখে মারা যেতেন। সে ফুল বাগান ছেলে-
মেয়ে, নাতি-নাতনি, পৌত্র-পৌত্রিতে ভর্তি থাকত। সকলের মাথার মনি
হয়ে অগাধ ভালোবাসা ও সম্মান-শ্রদ্ধা নিয়ে তারা দুনিয়া থেকে বিদায়
নিতেন।
(খ) আগে পুরুষেরা উপার্জন করত আর নারীরা বাড়িতে ছেলে-মেয়ে, শ্বশুর-শাশুড়ি, আত্মীয়-স্বজন ও আসবাবপত্রসহ যাবতীয় কিছুর খোঁজ-খবর রাখত।
স্বামীকে আনন্দ, তৃপ্তি দেওয়া ও তার মন যোগানো সব কিছু একজন নারী ঠাণ্ডা মাথায় সমাধান করত। ছেলে-মেয়েরাও দেখত তার মা-বাবা দাদা- দাদীকে কেমন সম্মান-শ্রদ্ধা করছে। তারাও ঐভাবে অভ্যস্ত হয়ে উঠত, কিন্তু বর্তমানে নারীরা উপার্জন কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে শুশুর-শাশুড়ি, পিতা- মাতা কারোরই সেবা যত্নে সময় দিতে পারে না। পারে না নয়নমণিদের একটু আদর-যত্ন করতে। এই জন্য নয়নমনিদের দূরে রাখছে ডে কেয়ারে। তেমনিভাবে দূরে থাকছে প্রবীনদের সম্মান-শ্রদ্ধা করা হতে। এই জন্যই তাদের ঠিকানা ‘বৃদ্ধাশ্রম'। আরও...
কই রাসূল (সাঃ) তো উক্ত লোকটিকে বললেন না যে, আচ্ছা ঠিক আছে, জিহাদে যাওয়ার সময় তোমার স্ত্রীকে ভালোভাবে বলে যেও যে, সে যেন তার মায়ের সেবা-যত্ন ভালোভাবে করে; বরং তাকেই বললেন: না, তোমার মায়ের সেবাই আত্নানিয়োগ করো। কেননা তার পায়ের নিকট জান্নাত । তবে হ্যাঁ, ছেলের কর্মক্ষেত্র যদি দূরে হয় আর সেখানে স্ত্রী-পরিবারকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না হয় তাহলে বৃদ্ধ পিতা-মাতার সেবার ব্যবস্থা বুঝিয়ে বলে স্ত্রীকে করতে হবে অন্যথায় খাদিমের ব্যবস্থাও করা যায়। ১১ আরও...
আরও পড়তে পিডিএফ টি ডাউনলোড করে পড়তে পারেন