প্রিয় নবির চার কন্যা pdf download, priyo nobir char konna 4 princesses pdf |
জাইনাব রাদিয়াল্লাহু আনহা
জাইনাব রাদিয়াল্লাহু আনহা নবিজির জ্যেষ্ঠ কন্যা ছিলেন। অনেক আলিম তাঁকে নবিজির প্রথম সন্তান বলে উল্লেখ করে বলেছেন, কাসিম রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর পরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। অপরদিকে আলি ইবনু আবদুল আজিজ আল-জুরজানি রাহিমাহুল্লাহ বলেন, 'কাসিম রাদিয়াল্লাহু আনহু বড়ো ছিলেন আর জাইনাব রাদিয়াল্লাহু আনহা ছোটো। [6] তবে এ ব্যাপারে সকলেই একমত যে, কন্যাদের মাঝে জাইনাব রাদিয়াল্লাহু আনহা ছিলেন সবার বড়ো।
নবিজির ৩০ বছর বয়সে জাইনাব রাদিয়াল্লাহু আনহা জন্মগ্রহণ করেন। সে হিসাবে তাঁর জীবনের প্রথম ১০ বছর নবিজির নবুয়তপ্রাপ্তির পূর্বেই কেটে যায়। অতঃপর মদিনায় হিজরতের পূর্বে ১৩ বছর পর্যন্ত মুশরিকদের থেকে নবিজি ও তাঁর পরিবারের ওপর যে নিষ্ঠুর জুলুম নির্যাতন চলেছিল, সেই নির্মম কষ্ট-যাতনার শিকার হয়েছিলেন জাইনাব রাদিয়াল্লাহু আনহা ও তাঁর বোনেরাও। নবুয়তের সপ্তম বছরে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবিগণসহ বনু হাশিম গোত্রকে তিন বছরের জন্য একঘরে অবরোধ করে রাখা হয়। সে সময় তাঁদের দুর্ভিক্ষের নিদারুণ যাতনা সইতে হয়েছিল। খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহা ও নবিজির সকল সন্তানও সেই চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছিলেন।
6 আল-ইসতিআর, পৃ. ১৮১৯০
7 উসদুল গাবা, পৃ. 1020 1
বৈবাহিক বন্ধন
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে আবুল আস ইবনু রাবির সাথে বিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর নাম লাকিত। উপাধি আবুল আস। কেউ জুবাইর আবার কেউ হাশিম বলেছেন। আবুল আস খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহার বোন হালাহ বিনতু খুওয়াইলিদের ছেলে ছিলেন। সে সূত্রে তিনি জাইনাব রাদিয়াল্লাহু আনহার খালাতো ভাই হন। ধনসম্পন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও আমানতদারীর দিক থেকে মক্কায় তাঁদের অবস্থান ছিল অনেক উঁচুতে। নবুয়তপ্রাপ্তির পূর্ব থেকেই নবিজির সাথে তাঁদের পরিবারের গভীর সম্পর্ক ছিল। কোনো কোনো আলিম বলেন, তাঁরা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন (এসব নবুয়তপ্রাপ্তির পূর্বের ঘটনা)। [৪]
আরও পিডিএফ:
মক্কায় থাকাকালীন জাইনাব রাদিয়াল্লাহু আনহার সাথে তাঁর বিয়ে সম্পন্ন হয়। তখন খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহাও জীবিত ছিলেন। আবুল আস মক্কায় থাকাকালীন ইসলাম গ্রহণ করেননি, বরং ইসলাম গ্রহণে অস্বীকার করেন; তবে মুশরিকদের পীড়াপীড়ির শিকার হয়ে জাইনাবকে তালাকও দেননি। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে বলেছিলেন, 'আবুল আস নিজেকে শ্রেষ্ঠ জামাতা রূপে প্রমাণ করেছে।"[গ
এসব ছিল ইসলামের প্রাথমিক যুগের ঘটনা। সে সময় সকল বিধিনিষেধ অবতীর্ণ হয়নি। সেজন্য এই প্রশ্ন আরোপ করা শুদ্ধ হবে না যে, একজন মুসলিম নারী একজন কাফিরের বিয়ে বন্ধনে কীভাবে থাকে?
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় হিজরত করেন, তখন তাঁর স্ত্রী সাওদা ও কন্যা ফাতিমা ও উম্মু কুলসুমকে ডেকে পাঠান; কিন্তু জাইনাব রাদিয়াল্লাহু আনহা তাঁর স্বামীর কাছেই রয়ে যান।
৪. আল-ইসাবা : ৭/১১৮।
9 আল-ইসতিআব, পৃ. 1902 1
সম্পুর্ণ লেখা প্রিয় নবির চার কন্যা - ফোর প্রিন্সেসেস বই থেকে নেওয়া
বি:দ্র: প্রিয় নবীর চার কন্যা pdf - ফোর প্রিন্সেস বইটি ফ্রী পিডিএফ ডাউনলোড করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না!