মা ম্যাক্সিম গোর্কি pdf free download, ma maxim gorky pdf download |
একটু পড়ুন:
রোজ রোজই সেই এক— সেই ভোর না হতেই কারখানায় বাঁশিটার কাঁপা কাঁপা বিশ্রী চিৎকার... কুলি-বস্তির ধোঁয়াটে তেলচিটে আকাশটা আঁতকে ওঠে। পেশিগুলো চাঙা হয়ে ওঠার আগেই সেই ডাকে সাড়া দিয়ে গুমট ঝাপসা অন্ধকারে ঘুম ভেঙে ধড়ফড় করে উঠে ছাইরঙা খুপরিগুলো থেকে অন্ধকার মুখে মানুষগুলো বেরিয়ে আসে ভয়-খাওয়া আরশোলার মতো। কনকনে ঠাণ্ডা; শেষরাতের আঁধার তখনও লেগে থাকে ভোরের গায়ে। এবড়োখেবড়ো রাস্তাটা দিয়ে চলে ওরা। কারখানার উঁচু উঁচু পাথুরে খুপরিগুলো ওদেরই অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে নির্বিকার আত্মপ্রত্যয়ে।
তাদের সার-বাঁধা চৌকো চৌকো তৈলাক্ত চোখের আলো পড়ে এঁদো রাস্তাটার ওপর। মানুষগুলোর পায়ের তলায় কাদা ছপছপ করে। কর্কশ, মোটা ঘুম-জড়ানো কন্ঠের গালাগালি আর খিস্তির তোড়ে বাতাস বিদীর্ণ হয় । তাদের দিকে ভেসে আসে আরও নানা শব্দ কারখানার যন্ত্রদানবের গর্জন আর বাষ্পের ভসভসানি। কুলি-বস্তির ওপরে মাথা উঁচিয়ে থাকে বিরস কালো চিমনিগুলো, মোটা মোটা উঁচানো গদার মতো।
আরও পিডিএফ:
তার পর যখন সন্ধে হয়, পড়ন্ত সূর্যের ক্লান্ত ছায়া এলিয়ে পড়ে জানালায় জানালায়, পোড়া-কয়লার ছাইয়ের মতো করে কারখানাটা তার পাথুরে ভুঁড়ি থেকে মানুষগুলোকে উগরে ফেলে । আবার সেই নোংরা রাস্তা বেয়ে কালিঝুলি মাখা কালো কঠোর মুখের মিছিল ; ক্ষুধার্ত ঠোটের ফাঁকে দাঁতগুলো ঝিলিক দেয়। কলের তেল-কালির গন্ধ বেরোয় চটচটে গা দিয়ে। কিন্তু এবেলা ওদের গলার স্বরে ফুর্তির, এমনকি আনন্দের সুর— আজকের মতো খাটুনি সারা। এখন ঘরে ফিরে, রাতের খাবার খেয়ে শরীরটা এলিয়ে দেওয়া।
মা ম্যাক্সিম গোর্কি pdf পুষ্পময়ী বসু পিডিএফ টি ডাউনলোড করতে নিচে ডাউনলোড বাটন ক্লিক করুন