ক্যারিশম্যাটিক এরদোগান pdf free download, অটোমান থেকে বর্তমান Automan Theke Bortoman Karismatic Erdogann |
ইতিহাসবেত্তাদের অনেকে বলে থাকেন, সময়ের ধারা পরিবর্তনে কারও ভূমিকা বর্ণনায় অনেকসময় অতিরঞ্জন করা হয়। তাঁদের মতে, একজন নয়; একদল মানুষের সামগ্রিক চিন্তাভাবনা আর সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে পরিবর্তন সাধিত হয়। তবে তাঁরা এ কথাও স্বীকার করেন যে, মূল নেতৃত্ব সাধারণত একজনই দিয়ে থাকেন। তাই বলে সব কৃতিত্ব একজনকে দিয়ে দেওয়া সংগত নয়।
যদিও সামগ্রিক চিন্তাভাবনাকারী একদল মানুষের কৃতিত্বকে খাটো করে না- দেখার মানসে পূর্বোক্ত দৃষ্টভঙ্গির উদয় হয়েছে; কিন্তু আমার মতে, এ দৃষ্টিভঙ্গির ফলে অপর একটি চেতনা উপেক্ষিত হয়েছে। অথচ সেই চেতনাটিই আল্লাহ তাআলার চিরন্তন রীতি। মানুষের জীবনকে সঠিক ধারায় নিয়ে আসার জন্য আল্লাহ তাআলা এ নিয়ম চালু করেছেন। বলছি সে চেতনার কথা—
মহান আল্লাহ কিছু মানুষকে নেতৃত্বের অসাধারণ যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেন। সেই যোগ্যতার মাধ্যমে তাঁরা মানব-হৃদয়ে লুকিয়ে থাকা আগুনের অঙ্গারকে মুহূর্তেই স্ফুলিঙ্গে পরিণত করতে পারেন। সুপ্ত চেতনাকে আন্দোলনের রূপ দিতে পারেন। যা দ্বারা একটি সফল বিপ্লব সাধিত হয়।
হ্যাঁ, আন্দোলন-সংগ্রামে অনেকের উপস্থিতি থাকে। কিন্তু আন্দোলনের জন্য কে উদ্বুদ্ধ করল তাদের? কে সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাল? উম্মাহর জন্য নিজের ধনসম্পদ বিলিয়ে দেওয়ার মানসিকতা কে তৈরি করল? আরও এগিয়ে বলতে হবে—তাদেরকে অনুসৃত রাস্তা কে দেখাল? তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য কে স্থির করে দিলো?
উপর্যুক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর জানার চেষ্টা করা হলে অবশ্যই এমন এক মহান ব্যক্তির কথা বলতে হবে, যাঁর মধ্যে এসকল গুণ সৃষ্টিগতভাবে পূর্ণমাত্রায়
বিদ্যমান। যাঁর আত্মপ্রকাশ মানুষের সৌভাগ্য বিবেচিত হয়। আন্দোলন-সংগ্রামে যাঁর উপস্থিতি সফলতার দ্বার উন্মোচন করে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একাধিক হাদিস ও বক্তব্যে এমন
চেতনার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। তিনি বলেন, “মানুষ শতসংখ্যক উটপালের মতো; যাতে আরোহণযোগ্য একটি উটও দুষ্প্রাপ্য। তেমনিভাবে শত মানুষের মাঝে এমন মানুষ দুষ্প্রাপ্য, যে নেতৃত্বের গুণে গুণান্বিত। নবিজি সা. আরও বলেন, 'আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক শতাব্দীতে একজন
সংস্কারক প্রেরণ করেন, যিনি সেসময় দীনের নামে শুরু হওয়া বেদআতের
মূলোৎপাটন করেন।'
আরও:আধার রাতের মুসাফির pdf - নাসিম হেযাজী {alertSuccess}
রাসুল সা. আবু বকর সিদ্দিক রাজিআল্লাহু আনহুকে পুরো উম্মতের মধ্যে সর্বাধিক শ্রেষ্ঠ মনে করতেন। তারপর উমর রা.-কে শ্রেষ্ঠ মনে করতেন। উসমান রা. সম্পর্কেও একই কথা বলেছেন। এ সম্পর্কে নবিজি সা. বলেন, 'রাতের শেষ প্রহরে স্বপ্নে দেখলাম, আমাকে “মাকালিদ” ও “মাওয়াজিন” দেওয়া হয়েছে। মাকালিদ মানে বিজয়। আর মাওয়াজিন মানে–পাল্লা। তারপর পাল্লার একপ্রান্তে আমাকে রেখে অপর প্রান্তে পুরো উম্মতকে রাখা হয়। আমার ওজন পুরো উম্মত থেকে ভারি হয়ে যায়। (অর্থাৎ, নবিজি সা. পুরো উম্মত থেকে শ্রেষ্ঠ।) তারপর এক প্রান্তে আবু বকর রা.-কে রেখে ওজন করা হলে তিনি পুরো উম্মত থেকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণিত হন। তারপর উমর রা.-কে রেখে পরিমাপ করা হলে তিনি তখন বাকিদের তুলনায় শ্রেষ্ঠ সাব্যস্ত হন। তারপর উসমান রা.-কে উঠিয়ে পরিমাপ করা হলে তিনি বাকিদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ সাব্যস্ত হন। তারপর সেই পাল্লা উঠিয়ে নেওয়া হয়।"
সেই চেতনাকে ধারণ করে আবু বকর সিদ্দিক রা. কাকা বিন আমর তামিমি রা. সম্পর্কে বলেন, 'সামরিক বাহিনীতে (রণাঙ্গনে) কাকার একটি আওয়াজ হাজার ব্যক্তির চেয়েও অধিক প্রভাব সৃষ্টিকারী।"
বুখারি : ৬১৩৩; মুসলিম: ২৫৪৮।
'যত জায়গায় 'সা' লেখা থাকবে সেখাসে পূর্ণ দুরূদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পড়া জরুরি। সুনানে আবু দাউদ: ৪২৯১।
'বইয়ে যত জায়গায় 'রা' লেখা থাকবে, সেখানে পূর্ণাঙ্গ রাজিআল্লাহু আনহু পড়া উত্তম।
মুসনাদে আহমাদ: ৪৬। উসদুল গাবাহ : ৩৯০৪।
খেলাফতের পতন ও তুর্কি জাতীয়তাবাদী সরকারের পণ্ডন
বুসিরি” রাহিমাহুল্লাহ তাঁর কবিতায় বলেন,চক্ষু ওঠা রোগীর চোখে বাড়ায় জ্বালা সূর্য-কিরণসুমিষ্ট জল লাগায় যেমন রোগীর জিবে ভিক্ত পীড়ন। {alertSuccess}
ক্ষমতাধর সাম্রাজ্য হিসেবে তুরস্ক ইসলামপূর্ব ও ইসলামের প্রথমযুগে তেমন উল্লেখযোগ্য ছিল না। হিজরি সপ্তম শতাব্দীর প্রথম দিক তথা খ্রিষ্টীয় ১৩ শতাব্দীর প্রথম তৃতীয়াংশে তাতারদের আগ্রাসন থেকে আত্মরক্ষার জন্য গোজ বংশোদ্ভূত ‘কাবি’ শাখাগোত্রের লোকেরা এখানে এসে বসতি স্থাপন করে। একদিন তাঁরা প্রথম সুলতান আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে সালজুক মুসলিম-বাহিনী বনাম বাইজেন্টাইন-বাহিনীর মধ্যকার লড়াই প্রত্যক্ষ করে। একপর্যায়ে তাঁরা সালজুক ভাইদের সহায়তায় এগিয়ে আসে। আল্লাহ তাআলার মেহেরবানিতে একপর্যায়ে তাঁরা বিজয় লাভ করে। সুলতান আলাউদ্দিন খুশি হয়ে তাঁদের একটি জায়গির দান করেন এবং গোত্রপতি উরতুগরুলকে তাঁদের নেতা বানিয়ে দেন।”
১২৮৮ মোতাবেক ৬৭৮ হিজরিতে উরতুগরুল মৃত্যুবরণ করলে পুত্র উসমান তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচিত হন। ‘উসমানি খেলাফত' শব্দটি তাঁর দিকেই সম্পৃক্ত করে বলা হয়। ইসলাম আর জিহাদকে ধারণ করেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল এই সাম্রাজ্য এবং এর উপরই ছিল রাষ্ট্রের অবস্থান। দিন বদলের সাথে সাথে তাঁদের ক্ষুদ্র রাজ্য একসময় রূপ নেয় বিশাল সাম্রাজ্যে, যে সাম্রাজ্যের মূলে ছিল ইসলাম। এই সাম্রাজ্যই ইউরোপে ইসলামের প্রসার ঘটায় এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলে ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে। উসমানিরা ঐতিহাসিক অনেক বিজয় অর্জন
30 শরফ উদ্দিন আবু আবদুল্লাহ আবু মুহাম্মাদ সাইদ বিন হামমাদ বিন আবদুল্লাহ আস-সানহাজি, আল- বুসিরি, আল-মিসরি (১২১২-১২৯৬) মিসরের বুসিরি এলাকার দিকে সম্পৃক্ত করে তাকে বুসিরি বলা হয়। প্রসিদ্ধ কবি ছিলেন। সূত্র : মুজামুল মুয়াল্লিফিন : ১০ / ২৮। কিয়ামুদ মাওলাতিল উসমানিয়া ১১৯-১২৬।
করেন। তাঁদেরই কৃতিসন্তান সুলতান মুহাম্মাদ আল-ফাতিহ কনস্টান্টিনোপল জয়ের মাধ্যমে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।"
পরবর্তীকালে এই সাম্রাজ্য ‘খেলাফত'-এ রূপান্তরিত হয়ে পুরো মুসলিমবিশ্বকে একই পতাকা এবং একই নীতি-আদর্শ তথা ইসলামের ছায়ায় নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করে। ইউরোপে ইসলাম প্রচারে উসমানি খেলাফতের রয়েছে অবিস্মরণীয় অবদান। আরব-অনারব সর্বশ্রেণির মুসলমানের ওপর রয়েছে তাঁদের বিরাট অনুগ্রহ। তাঁরা ৩০০ বছর পূর্ব-আরবকে ঔপনিবেশিক আক্রমণ থেকে নিরাপত্তা দিয়েছে। ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দে ধূলিসাৎ করে দেয় পর্তুগিজ ক্রুসেডারদের পরিকল্পনা। হেজাজ ভূমি রক্ষা করে শত্রুদের হিংস্র থাবা থেকে। ক্রুসেডারদের পরিকল্পনা ছিল তারা মক্কায় হামলা চালিয়ে তা ধ্বংস করে দেবে। অতঃপর মসজিদে হারামে আগুন লাগিয়ে দেবে। পবিত্র কাবাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করবে। তারপর মদিনায় হামলা করে নবিজির পবিত্র রওজা খনন করবে। এরপর চড়াও হবে বায়তুল মাকদিসের উপর। মসজিদে আকসায় আধিপত্য কায়েম করবে। এতেই ইসলামের গৌরবোজ্জ্বল বৃহত্তম তিনটি মসজিদ পর্তুগিজদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।
কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, পর্তুগিজদের ভয়ংকর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে দেয়নি উসমানি খেলাফত। তাদের সকল পরিকল্পনা ভণ্ডুল হয়ে যায় উসমানি খেলাফতের হাতে।
অনুরূপভাবে উসমানি খেলাফত পর্তুগিজ, স্পেনিশ এবং অন্যান্য ইউরোপীয় রাষ্ট্রের ক্রুসেডীয় আগ্রাসন থেকে রক্ষা করে উত্তর আফ্রিকার জনগণকে। ওই আগ্রাসীদের ইচ্ছা ছিল উত্তর আফ্রিকার উপকূলীয় মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলো দখল করে সেখানে প্রতিষ্ঠা করবে খ্রিষ্টানদের রাজত্ব। তাদের পরিকল্পনা ছিল ভূমধ্যসাগরকে খ্রিষ্টান সমুদ্র বানিয়ে আফ্রিকার অভ্যন্তরে ক্রুসেডীয় আগ্রাসন চালাবে। কিন্তু উসমানি খেলাফত তাদের সকল পরিকল্পনা দিবাস্বপ্নে পরিণত করে। ওই অঞ্চলকে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা বানিয়ে নেয়। একপর্যায়ে উত্তর আফ্রিকার তিনটি রাষ্ট্র আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া এবং ত্রিপোলি উসমানি খেলাফতের অধীনে চলে আসে। মূলত তৎকালীন পৃথিবীতে উসমানি খেলাফত ছিল বৃহৎ ও শক্তিধর ইসলামি সাম্রাজ্য। অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্র
"বর্তমান নাম ইস্তাম্বুল। তুরস্কের ঐতিহাসিক প্রাচীন শহর। আদ দাওলাতুল উসমানিয়া... : ৩৩-৩৫, আবদুল আজিজ শারাবি।
সম্পুর্ণ লেখা টি ক্যারিশম্যাটিক এরদোগান অটোমান থেকে বর্তমান বই থেকে নেওয়া।
আরও পড়তে পিডিএফ টি ডাউনলোড করতে পারেন!