অপারেশন কাশ্মীর pdf download, operation kashmir pdf download |
একটু পড়ুন
কাশ্মীর উপত্যকায় এখন আগুন জ্বলছে। সাতচল্লিশ বছর আগে আমরা যখন বৃটিশের নাগপাশ থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতার মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস গ্রহণ করি, যখন সমগ্র উপমহাদেশের মানুষ দুইশত বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিন্ন করে স্বাধীন আবাস রচনা করে, তখন নিজ মাতৃভূমিতে কাশ্মীর উপত্যকার মানুষ আবার বন্দী হয়ে পড়ে স্বদেশী উপনিবেশবাদের বন্দী শিবিরে। নিয়তির কী নিষ্ঠুর পরিহাস!
আরও পিডিএফ:
শেরে কাশ্মীর শেখ আব্দুল্লাহ এই উপমহাদেশের মুক্তি আন্দোলনের প্রথম শ্রেণীর নায়ক ছিলেন। ভারতের মুক্তি আন্দোলনের অগ্রসেনানী পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু স্বাধীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বহুদিন। তার বড় ঘনিষ্ঠ সহকর্মী ছিলেন শেখ আব্দুল্লাহ। ভারতবাসী ও আমাদের মত কাশ্মীরীরাও আশায় বুক বেঁধে ছিল স্বাধীনতার আস্বাদ গ্রহণের জন্যে। নেহেরু কাশ্মীরের হিন্দুরাজা হরি সিংকে আলিঙ্গন করে নিলেন আর কাশ্মীরের সিংহপুরুষ শেখ আব্দুল্লাহকে জেলে পুরলেন, বন্দুকের নল ঘুরিয়ে দিলেন কাশ্মীরের জনগণের দিকে।
চৌদ্দশত বছর ধরে যে কাফেলা পৃথিবীর পথ ধরে চলছে, ওরা দুনিয়াকে শান্তির পথ দেখিয়েছে, ইনসাফ কায়েম করেছে, মানবতাকে মহান করেছে এবং তাদের এক দল মর্দে মুমিন কখনো তরবারী কোষবদ্ধ করেনি। ওরা যুগে যুগে মুসলমানকে অপমান ও শৃঙ্খল থেকে মুক্ত রেখেছে। বর্তমান পৃথিবীতে এই কাফেলাটি তার পদচারণা কায়েম রেখেছে, ভবিষ্যতেও রাখবে এবং কিয়ামত পর্যন্ত তা চালু থাকবে। কেননা, এটি ছিল নৰীজীৱ ওসিয়ত। আজ আফগানিস্তানে, ফিলিস্তীনে, লেবাননে, ফিলিপাইনে, চেচনিয়ায়, বসনিয়ায় এই কাফেলা যেমন পথ অতিক্রম করছে, তেমনি কাশ্মীর উপত্যকাও ওদের পদভারে অবিরত কাঁপছে। মুজাহিদের আযান আজ সমগ্র কাশ্মীর উপত্যকার পাহাড়-পর্বতে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। কাফির আর তাগুতের কানে তালা লাগার
উপক্রম হয়েছে। কাশ্মীর শার্দুলদের হুংকারে ওদের কানে বাজ পড়ছে মুহুর্মুহু । কাশ্মীরের বাগানে আজ সত্যিকার অর্থে আগুন জ্বলছে, চারদিকে শুধু বারুদের গন্ধ। স্বাধীন, স্বতন্ত্র আবাস ও ইসলামী জীবন কায়েমের সংগ্রামে লিপ্ত কাশ্মিরী জনতা ও মুজাহিদরা প্রায় অর্ধশতাব্দী যাবৎ মরণপণ লড়াই করে চলছে। মুক্তিযুদ্ধের এই দীর্ঘ ইতিহাস বিশ্বজগতের অজানা নয়। একটি স্বাধীনতাকামী জাতির প্রতি কী নিষ্ঠুর আচরণ করে চলছে আরেকটি জাতীয়তাবাদী উম্মাদ জাতি, যা প্রতিদিন প্রত্যক্ষ করছে বিশ্ববিবেক। বিশ্ব সংস্থাসমূহের কোন উপদেশ, কোন সমাধান, কোন মীমাংসারই ধার ধারে না এই আধিপত্যবাদী শক্তিটি।
কাশ্মীর উপত্যকার সবুজ প্রান্তরকে উর্বর করে তুলেছে উম্মতে মুহাম্মদী । মুসলমানের রক্তে রঞ্জিত কাশ্মীর থেকে চোখ ফিরিয়ে রাখতে পারে না কোন ঈমানদার মুসলমান। কাশ্মীরের হাহাকার শুনে লক্ষ কোটি কর্ণ বধির হয় হোক, কিন্তু মুসলিম নামের প্রতিটি অন্তর পৃথিবীর যেখানে যত আছে আজ আর নিশ্চুপ রয়ে নেই ।
আল্লাহর জমিনে আল্লাহকে সিজদাহকারী দলকে বন্দুকের গুলীতে ভূলুণ্ঠিত করে
দেবে এটা বরদাশত করা যাবে না। তাই প্রতি উত্তরে বন্দুক গর্জে উঠেছে সাথে সাথে ।
এখন আর পাখির মত উড়িয়ে দিতে পারে না স্বাধীনতার বীর সেনানীদের। অত্যন্ত
সুশৃঙ্খল ও সশস্ত্র মুজাহিদদের এই বাহিনীর নেতৃত্বে রয়েছেন দুর্ধর্ষ সেনাপতিরা।
আরও:
এদের মধ্যে অন্যতম কয়েকজন হলেন, আফগান ফেরত পৌঁড়খাওয়া দুর্ধর্ষ কমান্ডার নাসরুল্লাহ মনসুর, কমান্ডার আমজাদ বেলাল, কমান্ডার শের খান ও কমান্ডার শামশীর খান। এই চার ঈমানদীপ্ত জানবাজ কমান্ডারের বাস্তব কাহিনীর ভিত্তিতে রচিত এই বইটি ।
লেখাগুলি অনূদিত হয়ে মাসিক জাগো মুজাহিদে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। পাঠকদের আগ্রহে এটি বই আকারে প্রকাশে এগিয়ে এসেছে 'জাগো মুজাহিদ পাবলিকেশন্স'।
রচনা
হাফেজ আকরামুল্লাহ, আমজাদ বেলাল,
শামশীর খান, শের খান
অনুবাদ
মনজুর হাসান (রহঃ)
মুহাম্মদ মুহিউদ্দীন আসাদ বিন মাসূদ