অভিশপ্ত রংধনু pdf ডাউনলোড


অভিশপ্ত রংধনু free pdf download বই আসিফ আদনান, justboipdf.com
অভিশপ্ত রংধনু pdf download, বই আসিফ আদনান, ovishopto rong dono pdf download


একটু পড়ুন: 
শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। মানুষ স্বভাবগতভাবেই অধৈর্য ও ত্বরাপ্রবণ। প্রয়োজনীয় পরিমান স্থৈর্য মানুষের মাঝে নেই। আর তাই শয়তান তার পরিকল্পনায় সফল হয়, মানুষ তার স্বভাবের বিপরীতে যেয়ে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায়।

মানবীয় স্বভাবঃ

মানুষের স্বভাবে ভালোবাসা ও আকর্ষণ নামক বস্তু আছে, তা সত্য। হালের সার্বক্ষণিক যৌনতা পরিপৃক্ত এ সমাজে এহেন ভালোবাসা ও আকর্ষণ যৌন চাহিদার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তবে মানুষকে সবসময় মনে রাখা চাই যে, তার মর্যাদাপূর্ণ ও সুউচ্চ একটি অবস্থান আছে। তার বিবেক বুদ্ধি আছে। আর তাই মানুষকে তার সম্মান ও মর্যাদার বিপরীত যৌন চাহিদা কর্তৃক তাড়িত হওয়া মোটেই উচিত নয়।

'ইসলামি জীবনব্যবস্থা

ইসলাম সর্বশ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর মনোনীত দ্বীন, পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। মানুষের জীবনের কোনো অংশই ইসলামের আওতামুক্ত নয়। তাই প্রত্যেক মুসলিম পুরুষ, যারা

ইসলামে বিশ্বাস করেন, তাদের উচিত ইসলাম নিয়ে অধ্যয়ন করা ও একে মেনে চলা।

মানুষের দায়িত্বঃ

যদি কোনো মুসলিম ইসলামী বিশ্বাসের বিপরীত কিছু করে এবং নিজের প্রবৃত্তিকে অনুসরণ করে তবে তা তার ঈমানের অঙ্গীকার ভঙ্গের শামিল। সে অবশ্যই যৌন চাহিদা চরিতার্থ করবে, তবে তা হবে ইসলাম নির্দেশিত পন্থায়। ভালো-মন্দের প্রভেদটুকু ভুলে গিয়ে যৌনতুষ্টির জন্য যখন ইচ্ছা ও যেখানে ইচ্ছা যা খুশি তা-ই করা মোটেও উচিত নয়।

পরিশুদ্ধ ও তাকওয়া

“নিয়ামে ইফফাত ও ইসমাত' বইতে পরিশুদ্ধতা ও তাকওয়া বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। মানুষের স্বভাবের ব্যাপারে ইসলামে তিনটি বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে। আমাদের এখানে বলতে হবে ইসলামে যেমন (স্ত্রী ব্যতীত) সকল নারীদের মাধ্যমে যৌন চাহিদা পূরণ করা বৈধ নয়, তেমনিই এর ইসলাম নির্দেশিত স্বভাবজাত পন্থা ব্যতীত অন্য কোনো উপায়েও তা পূরণ করা বৈধ নয়।


ইসলামি আইনঃ

ইসলামি আইনে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, পুরুষ তার বৈধ স্ত্রীর মাধ্যমে ও নারী তার বৈধ স্বামীর মাধ্যমেই কেবল যৌন চাহিদা নিবারণ করতে পারে। আরো বর্ণিত হয়েছে যে, এক্ষেত্রে কেবলমাত্র নারীর সম্মুখ অংশই ব্যবহার করা যাবে, পেছনের অংশ এ কাজে ব্যবহার করা যাবে না, এটা প্রকৃতিসিদ্ধ নয়। নারীরা না তা পছন্দ করে আর না এর মাধ্যমে তারা যৌন তৃপ্তি পায়।

ইসলামি বিধানঃ

পুরুষ পুরুষের মাধ্যমে ও নারী নারীর মাধ্যমে অর্থাৎ সমলিঙ্গীয় দুজন দুজনার

মাধ্যমে তৃপ্তি লাভের অনুমতি কোনো প্রত্যাদিষ্ট ধর্মই) প্রদান করে না। আমরা এখন ধর্ম, চিকিৎসা ও মানবীয় সাধারণ যুক্তির মাধ্যমে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো, যাতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এ ব্যধির প্রসার ঠেকানো যায়।


[১] ইহুদী ধর্ম

"একজন পুরুষের অন্য পুরুষের সাথে স্ত্রীলোকের ন্যায় যৌন সম্পর্ক অবশ্যই থাকবে না। তা হলো ভয়ঙ্কর পাপ।” (লেবীয় পুস্তক, লেভেটিকাস) ১৮:২২. "কোনো পুরুষের অন্য কোনো পুরুষের সাথে স্ত্রীলোকের মত যৌন সম্পর্ক থাকে তবে অবশ্যই যেন তাদের উভয়কেই মেরে

ফেলা হয়।" [লেবীয় পুস্তক, (লেভেটিকাস), ২০:১৩] "ঠিক একইভাবে পুরুষরাও স্ত্রীদের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক ছেড়ে দিয়ে অপর পুরুষের জন্য লালায়িত হয়ে লজ্জাকর কাজ। করেছে; আর এই পাপের শাস্তি তারা তাদের শরীরেই পেয়েছে।” (রোমীয় পুস্তক, ১:২৭ )

হিন্দুধর্মঃ

"যদি কোনো অবিবাহিত নারী আরেক অবিবাহিত নারীকে অপবিত্র করে তবে দু'শ টাকা জরিমানা অবশ্যই করা হবে, তাকে বৈবাহিক সম্পর্কের দ্বিগুণ পরিশোধ করতে হবে এবং দশটি বেত্রাঘাত করা হবে।” (মনুস্মৃতি, ৮:৩৬১) "কিন্তু যদি কোনো মহিলা অবিবাহিত মেয়েকে অপবিত্র করে তবে তৎক্ষণাৎ তার মাথা ন্যাড়া করে দিতে হবে, অথবা তার পু অঙ্গুলী কর্তন করে দিতে হবে এবং তাকে (শহরভর) গাধার পিঠে করে চড়ানো হবে।” (মনুস্মৃতি, ৮:৩৭০ ) পুরুষের সাথে পুরুষের যৌন মিলনের শাস্তি শুদ্ধিকরণের স্নান করাতে হবে ও কাপড় পরিধান করাতে হবে (পবিত্রকরণের জন্য)। (মনুস্মৃতি, ১১:১৭৫)

তবে এগুলো হিন্দুধর্মের প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মতাত্ত্বিক অবস্থান নয়। হিন্দুধর্মের পুরাকথায় অনেক জায়গায়ই পুরুষ ও নারী সমকামের উল্লেখ পাওয়া যায়। বিষ্ণুপী মোহিনীর সাথে শিবের সহবাস, হনুমানের লক্ষা ভ্রমণের সময় সেখানকার নারীলোকদের একে অপরের সাথে আলিক্ষণ করতে দেখা, শিখন্ডির নারী হওয়া সত্ত্বেও তার বাবার আরেক নারীর সাথে বিবাহ দেওয়া, স্নানের পরে অর্জুনের নারীরূপ অঙ্গুলীর কৃষ্ণের সাথে সহবাসে লিপ্ত হওয়া, ইন্দ্র ও বরুণের সম্পর্ক, অগ্নির মাঝে শিবের শুক্র গ্রহণে কার্তিকের জন্মসহ বিভিন্ন ঘটনাতেই সমকামের ইঙ্গিত, উল্লেখ ও বর্ণনা পাওয়া যায়। হিন্দুধর্মের দার্শনিক ও ধর্মতাত্ত্বিক মূল অবস্থান হলো যৌনতা-বিয়ে এগুলো পার্থিব বিষয়, স্রষ্টার এগুলো দিয়ে কোনো কাজ নেই, এগুলোর সাথে প্রস্তার সম্পর্ক নেই।
 

স্রষ্টার সাথে মিলিত হওয়া, মোক্ষলাভ, নির্বান প্রাপ্তির সাথে এ সকল পার্থিব কাজের কোনোই সম্পর্কে নেই। এগুলোর কোনটিই মূল উদ্দেশ্যে পার্থিব চাহিদার বিনাশ করে পুনর্জন্মের চক্রলোপের মাধ্যমে প্রস্তার সাথে মিলিত হওয়া এ চূড়ান্ত মুক্তিলাভ করার সাথে কি সমকামী, উভকামী, বহুগামী প্রত্যেকেই যার যার যৌন অবস্থানের ক্ষেত্রে স্বাধীন, ধর্মে এগুলোর কোনো বাধা নিষেধ নেই। সামাজিক কারণে কোনো কোনো সময় বাধা নিষেধ থাকতে পারে। আর উপরোি উদ্ধৃতিসমূহ মূলত আইনগ্রস্থ মনুস্মৃতির কোনো ধর্মতাত্ত্বিক গ্রন্থের নয়। [অনুবাদক]

অভিশপ্ত রংধনু pdf download করতে নিচে ডাউনলোড বাটন ক্লিক করুন।

Post a Comment

স্প্যাম কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন! ধন্যবাদ, পিডিএফ বই ডাউনলোড সমস্যা হচ্ছে? এখানে দেখুন>যেভাবে PDF ডাউনলোড করবেন?

Previous Next

نموذج الاتصال